অবতরণের কয়েক মুহূর্ত আগেই পাইলট টের পেয়েছিলেন সমস্যা হয়েছে। দক্ষিণ কোরিয়ার মুয়ান (Muan) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের আগেই তিনি মে ডে (May day) অর্থাৎ বিপদ বার্তা ঘোষণা করেছিলেন। তার পরক্ষণেই বিমানটিকে রানওয়েতে বুকে নামতে (belly landing) দেখা যায়। এরপর দ্রুত গতিতে গিয়ে পাশের দেওয়ালে ধাক্কা মারে বিমান। যার পরিণতি হিসেবে মৃত্যু হল ১২৪ জনের। মৃত্যু হয়েছে পাইলট, কো পাইলটের। ফলে দুর্ঘটনার আসল কারণ খুঁজে বের করতে বাধার মুখে সে দেশের পরিবহন দফতর।
রবিবার সাতসকালে থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংকক (Bangkok) থেকে ১৮১ জন যাত্রী নিয়ে দক্ষিণ কোরিয়ার (South Korea) উদ্দেশে রওনা দেয় দক্ষিণ কোরিয়ার জেজু এয়ার সংস্থার বিমান। এর মধ্যে দুজন থাই নাগরিক ছাড়া বাকি ১৭৯ জন ছিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিক। দুর্ঘটনায় বিমানের সামনের অংশ আগুনে জ্বলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। পিছনের খানিকটা অংশ রক্ষা পায়। সেখান থেকেই প্রাণে বাঁচতে জানলা থেকে লাফ দিতেও দেখা যায় বিমান যাত্রীদের।
বিমান বন্দর সূত্র ও যাত্রীদের সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়ানো বেশ কিছু ভিডিও থেকে তদন্তকারীদের অনুমান বিমানটিতে পাখির ধাক্কা লেগে থাকতে পারে। ল্যান্ডিং গিয়ারে (landing gear) ধাক্কা লাগা পাখি আটকে যায় বলেও অনুমান। যার ফলে অবতরণের আগের মুহূর্তে ল্যান্ডিং গিয়ার কাজ করেনি। দুর্ঘটনায় ২ বিমান কর্মী প্রাণে বেঁচেছেন। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করবেন দক্ষিণ কোরিয়ার তদন্তকারীরা।
মৃত ১২৪ জনের মধ্যে ৫৭ জন মহিলা, ৫৪ জন পুরুষ। ১৩ জনের পরিচয় বোঝা যায়নি বলে দাবি দক্ষিণ কোরিয়া (South Korea) পরিবহন মন্ত্রকের। তবে এখনো অনেক যাত্রী নিখোঁজ থাকার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও দাবি তাঁদের। ১৯৯৭ সালের পর এটি দক্ষিণ কোরিয়ার সবথেকে বড় বিমান দুর্ঘটনা। ৯৭-এর দুর্ঘটনায় ২০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল এবার সেই সংখ্যাটা এখনো পর্যন্ত খানিকটা কম।
–
–
–
–
–
–
–