প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। প্রতিশ্রুতি রাখবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সোমবার সন্দেশখালিতে মুখ্যমন্ত্রীর অপেক্ষায় মুখিয়ে রয়েছেন স্থানীয় মানুষ। তাঁদের উদ্দেশ্যে কী বার্তা দেবেন মুখ্যমন্ত্রী তা শোনার অপেক্ষা। মাঝে সন্দেশখালির (Sandeshkhali) উপর দিয়ে ঝড় বয়ে গিয়েছে। সেই ঝড় সামলে আবারও ঘুরে দাঁড়িয়েছে সন্দেশখালি। মুখ্যমন্ত্রী আগেই বলেছিলেন তিনি সন্দেশখালির মানুষের কাছে যাবেন। সেই কথা রেখেই সন্দেশখালিতে প্রশাসনিক জনসভা (administrative public distribution) করবেন তিনি। যেখান থেকে প্রায় কুড়ি হাজার মানুষ পাবেন সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবা।
সন্দেশখালির ঋষি অরবিন্দ মিশন মাঠে হবে এই প্রশাসনিক সভা। তার প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন উত্তর চব্বিশ পরগণার জেলাশাসক (DM) শরদকুমার দ্বিবেদী, বসিরহাটের এসডিও (SDO) আশিস কুমার, বসিরহাট সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেসের চেয়ারম্যান সরোজ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ অন্যরা। মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে আসবেন, তাই হেলিপ্যাড (helipad) তৈরির কাজ শেষ হয়েছে। রবিবার সেই হেলিপ্যাডে হেলিকপ্টার ওঠানামা করিয়ে পরীক্ষামূলক চেকআপ করা হয়। মুখ্যমন্ত্রী জানতে চাইবেন সেখানকার উন্নয়নের খতিয়ান, জানতে চাইবেন আর কী কী কাজ সেখানে করতে হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, সন্দেশখালি ১ এবং ২ নম্বর ব্লকের প্রায় ২০ হাজার মানুষের হাতে মুখ্যমন্ত্রী বিভিন্ন প্রকল্পের সহায়তা তুলে দেবেন। মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন বিভিন্ন দফতরের আধিকারিক ও জনপ্রতিনিধি-সহ মোট ১৩৪ জন।
তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই প্রশাসনিক বৈঠক ঘিরে কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে বসিরহাট (Basirhat)। সন্দেশখালিকে চক্রান্ত করে বারবার উত্তপ্ত করার ঘৃণ্য রাজনীতি শুরু করেছিল বিরোধীরা। তার মধ্যে বিজেপিই অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছিল। মিথ্যা অভিযোগ করে লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) আগে রাজনৈতিক ফায়দা তুলতে চেয়েছিল বিজেপি (BJP)। কিন্তু সেই আশায় জল ঢেলে দিয়ে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ ভোটে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী হাজি শেখ নুরুল ইসলাম। তাঁর প্রয়াণের পরেও বসিরহাট উপনির্বাচনে তৃণমূলের প্রতিই আস্থা রেখেছেন স্থানীয় মানুষ। জয়ী হয়েছেন তৃণমূল প্রার্থী তথা নুরুল ইসলাম পুত্র রবিউল ইসলাম।
–
–
–
–
–
–
–
–