বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতে লাগামছাড়া দুর্নীতি, সন্ত্রাস। আর তার প্রতিবাদ করলেই শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikary) রোশের মুখে পড়তে হয় বিজেপিরই নেতাদের! কার্যত বিরোধী দলনেতার কাজে ক্ষোভ প্রকাশ করে বিজেপি ছাড়লেন তমলুক সংগঠনিক জেলার বিজেপি নেতা অশোক করণ (Ashoke Karan) সহ প্রায় পঞ্চাশ সদস্য। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের মধ্যেই বিজেপিতে (BJP) নেতৃত্ব স্তরে বড়সড় ভাঙ্গন ফের একবার প্রশ্নের মুখে ফেলে দিল শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক পরিচালন ক্ষমতাকেই। একঝাঁক নন্দীগ্রাম বিজেপি কর্মীদের দলত্যাগে কটাক্ষ তৃণমূলের।
বিজেপির তমলুক সংগঠনিক জেলা কমিটির নন্দীগ্রাম এক পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য ছিলেন অশোক করণ। ২০০৩ সাল থেকে তৃণমূল কর্মী হলেও শুভেন্দুর পথ অনুসরণ করে তাঁরা যোগ দিয়েছিলেন বিজেপিতে। এবার মোহভঙ্গ। ফলে প্রায় ৫০কর্মীসহ বিজেপি ছাড়লেন অশোক করণ ও দেবাশিস দাস। একদিকে নন্দীগ্রামে পরপর দুই তৃণমূল কর্মীর (TMC worker) খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত বিজেপি। এই কোণঠাসা পরিস্থিতিতে দলীয় নেতাদের দলত্যাগ নিজের এলাকাতেই সংকট বাড়ালো বিরোধী দলনেতার।
দলত্যাগী বিজেপি নেতাদের দাবি, বিজেপি পরিচালিত পঞ্চায়েতগুলিতে পাহাড় প্রমাণ দুর্নীতি (corruption)। অন্যদিকে নন্দীগ্রাম (Nandigram) জুড়ে রাজনৈতিক বিবাদ ও সংঘর্ষে উস্কানি দিচ্ছেন বিজেপি নেতারা। এই দুই পন্থার প্রতিবাদ করেন অশোক দেবাশিসের মত নেতারা। বদলে শুভেন্দু অধিকারীর রোশের মুখে পড়তে হয় তাঁদের। অবশেষে দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে আলোচনা করে বিজেপি থেকে ইস্তফার সিদ্ধান্ত নেন তাঁরা।
নিজের গড় ধরে রাখতে না পেরে তৃণমূলের কটাক্ষের শিকার বিজেপি। রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি, বিরোধী দলনেতার কেন্দ্রে যদি তাঁর উপর আস্থা না রেখে বিজেপি ছেড়ে দেন তাহলে সেটা বিজেপি বুঝবে। তবে বিজেপির লোকেরাই অভিযোগ এনেছে দল কীভাবে চলছে, খুন খারাপির রাজনীতি চলছে।
–
–
–
–
–
–
–