শেষ পর্যন্ত দেখা মিলল জিনাতের। ১৯২ ঘণ্টা পরে বাঁকুড়ার (Bankura) রানিবাঁধের গোঁসাইডিহিতে তাকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছুড়তেই হল বন দফতরকে। তবে ট্রাঙ্কুলাইজার বাঘিনির (Tigress) গায়ে লেগেছে কি না, তা নিয়ে এখনও নিশ্চিত নন বনকর্মীরা।
রাজ্য, জেলার সীমানা পেরিয়ে হেঁটে চলেছে বাঘিনি (Tigress) জিনাত। গত কয়েকদিন ধরেই বাংলার একের পর এক জেলায় পেরিয়ে এখন বাঁকুড়ায় রয়েছে। তার জন্য পাতা ফাঁদ, টোপ সব এড়িয়ে দিব্যি নিজের মর্জিতে বিচরণ করছিল বাঘিনি। ফলে নাগালে পেয়েও জিনাতকে বাগে আনতে পারেনি বন দফতর। তবে, রেডিও কলার থাকায় জিনাতের গতিবিধির উপর সব সময়ই নজর ছিল। শনিবার, রানিবাঁধের গোঁসাইডিহির গোটা জঙ্গলই জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। ড্রোন (Drone) দিয়ে চলছিল নজরদারি। দেখা মাত্রই বাঘিনিকে লক্ষ্য করে ঘুমপাড়ানি গুলি ছোড়া হয়। কিন্তু গুলি বাঘিনির শরীরে লেগেছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান দক্ষিণ পশ্চিম চক্রের মুখ্য বনপাল বিদ্যুৎ সরকার।
বন দফতরের দাবি, এই প্রথম বাঘিনির এতটা কাছে পৌঁছতে পারেন বনকর্মীরা। জিনাতকে দেখতে পেয়েই ছোড়া হয় ট্রাঙ্কুলাইজার (Tranquilizer)। এবার সুস্থভাবে বাঘিনিকে উদ্ধার করে ওড়িশায় ফেরত পাঠানোটাই বন দফতরের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ।
–
–
–
–
–
–
–
–