নন্দীগ্রামে এক মাসে দুজন খুন হয়েছেন। এই নিয়ে যখন রাজনৈতিক চাপানউতর চলছে, সেই আবহে বদল করা হল নন্দীগ্রাম থানার আইসি-কে। এতদিন এই দায়িত্বে ছিলেন অনুপম মণ্ডল। তাকে বদলি করা হয়েছে ডিআইবি-তে। জেলা পুলিশ অবশ্য জানিয়েছে, একবারেই রুটিন বদলি। তার পরিবর্তে নন্দীগ্রামের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তুহিন বিশ্বাসকে।সম্প্রতি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় হার এবং তৃণমূলের জয়ী হওয়ায় পর পর তৃণমূল কর্মীদের খুনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে নরসিংহ পুর আসদতলা কৃষি সমবায় উন্নয়নের নির্বাচন। তার আগে বিজেপির একাংশ এ ভাবে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
প্রসঙ্গত, গত গত ৮ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার সকালে নিজের দোকানের ভিতর থেকে উদ্ধার হয়েছিল নন্দীগ্রামের গোকুলনগরের বাসিন্দা মহাদেব বিষয়ীর ক্ষতবিক্ষত দেহ। তিনি বৃন্দাবনচক দক্ষিণ ২৫৩ নম্বর বুথের তৃণমূল কর্মী ছিলেন। স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব এই ঘটনায় বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন । যদিও বিজেপি সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তৃণমূলের দাবি ছিল, মহাদেবকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে। নেপথ্যে রয়েছে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। যাবতীয় অভিযোগ অস্বীকার করেছিল বিজেপি।
নন্দীগ্রামের কালীচরণপুরে খুন হন তৃণমূলকর্মী বিষ্ণুপদ মণ্ডল। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসকদলের কর্মীদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ আইসি, এই অভিযোগ উঠছিল দলের অন্দরে। বিজেপির দাপটে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের অনেক নেতাকর্মী বসে যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন। সে খবর শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে পৌঁছতেই আইসি বদলের সিদ্ধান্ত হয়।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ২৫ ডিসেম্বর বড়দিন উপলক্ষ্যে বৃন্দাবন চকে পিকনিক করছিলেন নন্দীগ্রামের বিজেপির বেশ কিছু কর্মী ও স্থানীয় নেতৃত্বের কয়েকজন। অভিযোগ বিজেপি কর্মীদের বিরুদ্ধে।ওয়াকিবহালমহলের মত, নন্দীগ্রামে বিজেপির উত্থানের পরে সিপিএমের হার্মাদরা অনেকেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরাই মূলত ‘নব্য বিজেপি’ হিসাবে পরিচিত।মূলত সেই আক্রোশ মেটাতেই তারা বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা করছেন। এদের উপর বিজেপির ‘আদি গোষ্ঠী’র তেমন নিয়ন্ত্রণও নেই। ফলে তারা আটকাতে পারছেন না।
সম্প্রতি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় হার এবং তৃণমূলের জয়ী হওয়ায় পর পর তৃণমূল কর্মীদের খুনের জন্য দায়ী বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ২৯ ডিসেম্বর নন্দীগ্রাম-২ ব্লকে নরসিংহ পুর আসদতলা কৃষি সমবায় উন্নয়নের নির্বাচন। তার আগে বিজেপির একাংশ এ ভাবে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করতে চাইছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।
–
–
–
–
–
–
–