অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিসের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ

0
1

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Abhishek Banerjee) অফিসের আধিকারিক পরিচয় দিয়ে প্রতারণার চেষ্টার অভিযোগ। পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। এনমকী, MLA হস্টেলের বুকিং রেজিস্টার বাজেয়াপ্ত করল পুলিশ। MLA হস্টেলের সুপারের কাছে আরও তথ্য তলব করা হয়েছে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিষেকের নাম ভাঙিয়ে ফোন করে পুরপ্রধানের থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতানোর ছক কষা হয়েছিল। কিন্তু অভিযুক্তদের টার্গেট, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যানের উপস্থিত বুদ্ধির জেরে হাতেনাতে পুলিশের জালে ধরা পড়ল ৩ দুষ্কৃতী।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান ও তৃণমূল নেতা আনন্দ দত্তকে ফোন করে ৫ লক্ষ টাকা দাবি করে অভিযুক্তরা।

পুর-প্রধানের অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অফিস থেকে ফোন করা হচ্ছে বলে দাবি করা হয় ফোনের অন্য প্রান্ত থেকে। টাকা নিয়ে কলকাতার কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলে আসতে বলা হয় কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান আনন্দ দত্তকে। তিনি বলেন, ফোন এসেছিল, অভিষেক ব্যানার্জির অফিসের নাম করেই এসেছিল। বলেছিল MLA হস্টেলে আসুন।

অভিযোগ, একইভাবে আইপ্যাক কর্তা প্রতীক জৈনের নাম করে তোলা চেয়ে ফোন আসে কাটোয়া পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছে। কাজ ভাল না হওয়ায় চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে, পদে থাকতে হলে টাকা নিয়ে MLA হস্টেলে দেখা করুন বলে ফোনে বলা হয় বলে অভিযোগ।  সূত্রের খবর, সন্দেহ হওয়ায়, কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান যোগাযোগ করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের  ক্যামাক স্ট্রিটের অফিসে। এরপরেই ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদের অফিস থেকে দায়ের করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তে নেমে ফাঁদ পাতে শেক্সপিয়র সরণি থানা। টাকা দেওয়ার কথা বলে সাদা পোশাকে পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলে যান কালনা পুরসভার চেয়ারম্যান। সেখান থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় জুনেদুল হক চৌধুরী, শুভদীপ মালিক ও শেখ তসলিম নামে তিন অভিযুক্তকে।

আরও চাঞ্চল্যকর বিষয় হল, কিড স্ট্রিটের MLA হস্টেলের যে ঘর থেকে ৩ অভিযুক্তদের পাকড়াও করেছে পুলিশ, শেক্সপিয়র থানা সূত্রে দাবি, সেই ঘরটি কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে-র নামে ‘বুক’ করা হয়েছিল। তিনি বলেন, যাকে আমি চিনি না তাকে ঘর দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। আমি যদি ঘর দিই, তাহলে আমার প্যাডে রেকমেন্ডেশন লেটার লাগবে, তা ছাড়া তো হতে পারে না। কে, কার নামে কোথা থেকে ঘর বুক করবে, তার দায় তো আমার নয়।

এবিষয়ে বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমাদের যে সুপারিনটেনডেন্ট রয়েছেন আমাদের MLA হস্টেলের, তার কাছে আমি তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। পাশাপাশি আমি পুলিশের আধিকারিকের কাছে জানতে চাইব (ধৃতদের) কী যোগ রয়েছে। কেউ যদি অসৎ উদ্দেশ্য নিয়ে ঢুকে থাকে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার আমরা নেব।ধৃতদের অন্যতম শুভদীপের বাড়ি তারকেশ্বরের নাইটা মাল পাহাড়পুর গ্রাম পঞ্চায়েতের রামচন্দ্রপুর গ্রামে। পরিবারের দাবি, শুভদীপ পেশায় গাড়িচালক। চার বছর ধরে ওই কাজ করেন তিনি। গত কয়েক দিন ধরে শুভদীপ কলকাতায় এক ব্যক্তির গাড়ি চালাচ্ছিলেন।