৩০ ডিসেম্বর সন্দেশখালি যাবেন মুখ্যমন্ত্রী, জানালেন গঙ্গাসাগর-সহ একগুচ্ছ কর্মসূচি

0
1

নির্বাচনের সময়ই জানিয়ে ছিলেন, সময়মতো সন্দেশখালি যাবেন। বৃহস্পতিবার, নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানালেন, ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১টায় সন্দেশখালিতে পরিষেবা প্রদান অনুষ্ঠান করবেন তিনি। ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে যাবেন রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। ৮ তারিখ মিলেনিয়াম পার্কের বিপরীতের মেলায় যাবেন। একগুচ্ছ কর্মসূচির ঘোষণা করলেন মমতা।

এবছর ৫ জানুয়ারি থেকে খবরের শিরোনামে উঠে আসে সন্দেশখালি (Sandeshkhali)। লোকসভা ভোট পর্যন্ত খবরের চর্চায় ছিল সন্দেশখালি। একে হাতিয়ার করতে চেয়েছিল বিরোধীরা। কিন্তু লাভ হয়নি। বসিরহাট লোকসভা যার মধ্যে সন্দেশখালি পড়ে- সেখান থেকেও জিতেছিল তৃণমূলই (TMC)। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী জানান, “নির্বাচনের আগে অনেকে আমাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন, দিদি আপনি সন্দেশখালি গেলেন না? আমি বলেছিলাম, সময়মতো যাব। ৩০ ডিসেম্বর বেলা ১টায় সরকারি ডিস্ট্রিবিউশন কর্মসূচিতে সন্দেশখালি যাব। সরকারের বিভিন্ন পরিষেবা মানুষের হাতে তুলে দেওয়া হবে।” জানান, দুপুর একটায় সন্দেশখালির সরকারি বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন তিনি। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার থেকে বিভিন্ন সরকারি প্রকল্পে উপভোক্তাদের সরকারি সাহায্য করা হবে। নিজে শতাধিক মানুষের হাতে পরিষেবা তুলে দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ২০ হাজার উপভোক্তা উপকৃত হবেন।

এর পাশাপাশি ৬ জানুয়ারি গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি দেখতে যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সবদিক খতিয়ে দেখবেন। প্রথমেই তিনি যাবেন ভারত সেবাশ্রম সংঘে। এরপরে কপিলমুণির আশ্রমে যাবেন।

৮ তারিখ মিলেনিয়াম পার্কের বিপরীতের মেলায় যাবেন মমতা (Mamata Banerjee)। ই-ভেসেল পরিষেবার উদ্বোধন করবেন। আইটিসি-র এআই-র হাব তৈরি হয়েছে। সেটাও মুখ্যমন্ত্রীকে উদ্বোধনের জন্য সংস্থার তরফে মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে। সেখানে যাবেন কি না তা নিয়েও এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলে জানান মমতা। একই সঙ্গে জানান, ৫ ও ৬ ফেব্রুয়ারি বেঙ্গল বিজনেস সামিট রয়েছে। সব কাজ সম্পূর্ণ হয়ে গেলে কালীঘাটের স্কাইওয়াকের উদ্বোধন হতে পারে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে। দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের তারিখ আগেই জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে ১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। মমতা বলেন, তিনি প্রশাসনিক ভবন থেকে দলের কথা বলেন না। তবে, এদিন রক্তদান শিবির অনুষ্ঠিত হয়। সেই বিষয়ে মমতা জানান, ২৬ পূর্ণ হয়ে ২৭-এ পা দিচ্ছে তৃণমূল। এই দিনটি মা-মাটি-মানুষ দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সেই উপলক্ষ্যে রক্তদান শিবির করা হবে রাজ্যজুড়ে। সেই রক্ত আপৎকালীন পরিস্থিতিতে জীবনদায়ী হয়ে কাজে দেয়।

এছাড়াও ২ জানুয়ারি প্রশাসনিক পর্যালোচনা বৈঠকে হবে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী।