সংসদ চত্বরে গায়ে আগুন লাগানো যুবকের অভিযোগ ঘিরে আরো একবার কাঠগড়ায় যোগীরাজ্যের পুলিশ। কীভাবে কেন্দ্রীয় সংস্থার নির্দেশকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে স্বৈরাচার প্রতিষ্ঠা করেছে যোগী রাজ্যের পুলিশ, তারই উদাহরণ তুলে ধরলেন জিতেন্দ্রকুমার। গুরুতর আহত অবস্থায় বর্তমানে সে আরএমএল হাসপাতালে (RML Hospital) মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছে।
বুধবার বিকালে সংসদের (Parliament) বাইরে একটি পার্ক থেকে গায়ে আগুন লাগিয়ে সংসদের দিকে ছুটে আসে জিতেন্দ্র কুমার। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয় মানুষ ও রেলওয়ে পুলিশ (Railway police)। তাকে হাসপাতালে পাঠানোর পরই ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশ (Delhi Police) ও ফরেনসিক দল।
সংসদ চত্বরের বাইরে তার যে সব জিনিস পড়েছিল সেখানেই একগুচ্ছ কাগজ পাওয়া যায়। যেখান থেকে তার পরিচয় জানা যায়। তার নাম জিতেন্দ্র কুমার। বাড়ি উত্তরপ্রদেশের (Uttarpradesh) বাগপথে। এরপরই পুলিশি তদন্তে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। একটি জমি মামলায় তাদের দুটি পরিবার লিপ্ত ছিল। সেই মামলায় জাতীয় এসসি কমিশন (NCSC) তার পরিবারকে নির্দোষ বলে নির্দেশ দেয়।
অভিযোগ, এরপরেও উত্তর প্রদেশ পুলিশ জিতেন্দ্র ও তার পরিবারকে জেলে ভরে। জেল থেকে মুক্ত হওয়ার পরে মানসিক অবসাদে ভুগছিল জিতেন্দ্র। এরপরই সে বাগপথ (Baghpat) থেকে ট্রেন ধরে সোজা দিল্লি চলে আসে। এরপর সংসদ ভবনে (Parliament) বাইরে গায়ে আগুন লাগানোর সিদ্ধান্ত নেয়, বলে দাবি তদন্তকারী আধিকারিকদের। জিতেন্দ্রর জীবন-মরণ লড়াইয়ের মধ্যে ফের একবার প্রশ্নের মুখে উঠে এলো উত্তর প্রদেশ পুলিশের স্বেচ্ছাচারিতা।
–
–
–
–
–
–
–