১৯৭৪ সালে তরুণ মজুমদার পরিচলনা করেছিলেন বাংলা ছবি ‘ঠগিনী’। প্রায় ৩১ বছর পরে বলিউডে তৈরি হয় ‘ডলি কী ডোলি’। ছবি দুটির বিষয় প্রায় এক- একের পর এক ধনী পুরুষকে বিয়ে করে তাঁদের সম্পত্তি হাতিয়ে পালানো। সেলুলডের কায়দাতেই প্লট সাজিয়ে ধনী পুরুষদের বিয়ে করে টাকা হাতাতেন বাস্তবের ঠগিনী- উত্তরাখণ্ডের (Uttarakhand) সীমা ওরফে নিক্কি। তবে, তাঁর ছক ছিল বিয়ের পরে ডিভোর্স করে খোরপোষের নামে মোটা টাকা আদায় করা। তবে, শেষবার চুরি করে জালে পড়েন ‘ঠগিনী’।
২০১৩-তে প্রথমবার আগ্রার এক ব্যবসায়ীকে বিয়ে (Marriage) করেন সীমা (Sima)। কয়েক মাস পরই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে ৭৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ বাবদ পান। সেই থেকে এটাকেই পেশা করে নেন সীমা ওরফে নিক্কি। প্রায় ১০ বছরের বেশি সময় ধরে একের পরে বিয়ে করে টাকা হাতান তিনি। ২০১৩-এর পরে ২০১৭। গুরুগ্রামের এক সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ারকে বিয়ে করেন সীমা। তাঁর বিরুদ্ধেও ডিভোর্সের মামলা করে ১০ লক্ষ টাকা খোরপোষ বাবদ পকেটস্থ করেন। ২০২৩ সালে জয়পুরের এক ব্যবসায়ী সীমার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন। এবার আর খোরপোষ নয়। এই ব্যবসায়ীকে বিয়ে করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই শ্বশুরবাড়ি থেকে সোনার গয়না এবং নগদ মিলিয়ে ৩৬ লক্ষ টাকা নিয়ে পালিয়েছিলেন সীমা। সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
কী ভাবে টার্গেট খুঁজেতেন সীমা?
জেরায় পুলিশকে অভিযুক্ত জানান, বিভিন্ন ম্যাট্রিমনিয়াল সাইট দেখে বর খুঁজতেন। বেছে বেছে ডিভোর্সী বা বিপত্নীক পুরুষদের সঙ্গেই সম্পর্ক স্থাপন করতেন সীমা (Sima)। তারপর তাঁদের ভুলিয়ে বিয়ে করতেন এবং কিছুদিন পরেই নানা অজুহাতে স্বামী ও শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে মামলা করে, ডিভোর্স চেয়ে টাকা হাতাতেন। সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত তিনবার বিয়ে করে মোট ১.২৫ কোটি টাকা হাতিয়েছেন তিনি। তবে, এই প্রতারণায় তাঁর সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কি না- খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
–
–
–
–
–
–
–
–