ইন্ডিয়া-নেতৃত্বভার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ন্যস্ত করতে ইতিমধ্যেই জোরালো দাবি তুলেছে অধিকাংশ শরিকদল। কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ইন্ডিয়ার (I.N.D.I.A.) মুখ করতে সওয়াল করেন এনসিপি (NCP) প্রধান শরদ পাওয়ার থেকে শুরু করে আপ (AAP) সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়াল, সমাজবাদী পার্টির (SP) অখিলেশ যাদব, শিবসেনার উদ্ধব শিবিরের সঞ্জয় রাউত প্রমুখ। এবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে সওয়াল করলেন কংগ্রেসেরই মণিশঙ্কর আইয়ার (Manishankar Aiyer)।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ইন্ডিয়ার (I.N.D.I.A.) ‘মুখ’ হিসাবে চেয়ে জাতীয় রাজনীতিতে জল্পনা উসকে দেন বর্ষীয়ান কংগ্রেস নেতা। তিনি বলেন, কংগ্রেসকে জোটের নেতৃত্ব ছাড়তে হবে। ইন্ডিয়া জোটের মুখ হওয়ার যোগ্য অনেকেই রয়েছেন। তাঁদের মধ্যে অন্যতম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রধান বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই কংগ্রেসের (Congress) উচিত যে বা যাঁরা চাইছেন, তাঁদের হাতে নেতৃত্বের রাশ ছেড়ে দেওয়া। মণিশঙ্কর আইয়ারের এই মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়েছে হাত শিবির।
২০২৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে তৈরি হয় ইন্ডিয়া জোট। কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়ে তৃণমূল, আম আদমি পার্টি, সমাজবাদী পার্টি, এনসিপি, শিবসেনার মতো একাধিক রাজনৈতিক দল ইন্ডিয়া মঞ্চটি তৈরি। কংগ্রেসের একের পর এক ব্যর্থতায় এই ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্বভার কার হাতে সুরক্ষিত থাকবে তা নিয়ে কংগ্রেস ও তৃণমূলের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে। এই পরিস্থিতি সম্প্রতি এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে একান্ত সাক্ষাৎকারে কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা মণিশংকর আইয়ার তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য করেন। স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসেবে যোগ্যতম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এরপর অবশ্য তাঁর বিবৃতিতে বলেন, ইন্ডিয়া জোটের মুখ কে হবেন, তা নিয়ে আমার কোনও মাথাব্যথা নেই। তবে এটা ঠিক জোটে কংগ্রেসের বড় ভূমিকা রয়েছে। কংগ্রেসের গুরুত্বকে অস্বীকার করার কোনও জায়গা নেই। রাহুল গান্ধী যদি ইন্ডিয়া জোটের প্রেসিডেন্ট হন তাহলে তিনি নিঃসন্দেহে অনেক বেশি সম্মান পাবেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন তাঁর এই বক্তব্য ভারসাম্য রক্ষা করার চেষ্টা। ইন্ডিয়া জোটের মুখ হিসাবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপরেই তাঁর আস্থা।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে ধরাশয়ী হয়েছে বিজেপি। ২০২১-এর নির্বাচননেও বিজেপি ধরাশায়ী হয়েছে। তারপর যত উপনির্বাচন হয়েছে, সর্বত্রই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালে কুপোকাত বিজেপি। অন্যদিকে কংগ্রেস হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে। বিজেপির সঙ্গে সম্মুখ সমরে পিছিয়ে পড়ছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেসকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে উঠে এসেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম।
–
–
–
–
–
–
–