পাঞ্জাব এফসির বিরুদ্ধে পিছিয়ে থেকে জয়ের পর গতকাল যুবভারতীতে জামশেদপুর এফসির বিরুদ্ধে দুরন্ত জয়। একেবারে অন্য মেজাজে ধরা দিচ্ছে ইস্টবেঙ্গল এফসি। এই লাল-হলুদের আত্মবিশ্বাস একেবারেই তুঙ্গে। যেখানে রয়েছে হার না মানার শপথ। আর এই লাল-হলুদের খেলায় উচ্ছ্বসিত কোচ অস্কার ব্রুজো। বললেন ছেলেদের খেলায় আমি খুশি।
ম্যাচের পর সাংবাদিক সম্মেলনে অসাধারণ জয়ের পর অস্কার ব্রুজো বলেন, “ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষের কাজ কঠিন করে তুলতে পেরেছি আমরা। এই ফলে আমি খুশি। দু’পক্ষের গোলের সামনেই অনেক সুযোগ তৈরি হয়েছে । বলেছিলাম, এই ম্যাচে যারা প্রথমে গোল করবে, তাদের জেতার সম্ভাবনা প্রবল। সেটাই হল।”
গতকাল জামশেদপুর ম্যাচে একাধিক সুযোগ তৈরি করে লাল-হলুদ। প্রতিপক্ষের গোলকিপার আলবিনো গোমস পাঁচটি অবধারিত গোল সেভ করেন এবং আনোয়ার আলি ও পিভি বিষ্ণুর শট বার ও পোস্টে ধাক্কাও খায়। এই সুযোগ তৈরি নিয়ে কোচ বলেন, “আরও বেশি গোলে জেতা উচিত ছিল তাদের। বলেন, আমাদের আরও গোল করা উচিত ছিল। ম্যাচের পর দেখছিলাম, আমরা দশটা গোলের সুযোগ তৈরি করেছি। তবু বলব, সৌভাগ্যক্রমে, প্রতিপক্ষের বক্সে মাথা ঠাণ্ডা রাখতে পেরেছে আমাদের ছেলেরা। আমাদের ফিনিশিংও আজ ভাল হয়েছে। তবে এখনও অনেক জায়গায় উন্নতি করতে হবে আমাদের।”
জামশেদপুরের বিরুদ্ধে দুরন্ত ফুটবল খেলেন আনোয়ার আলি। শুরুর দিকে মাঝমাঠে খেলার পর রক্ষণে ফিরে যান। তাঁর একাধিক পজিশনে খেলা প্রসঙ্গে অস্কার বলেন, “আনোয়ার দুর্দান্ত ফুটবলার ও মানুষ। দুর্দান্ত এক টিমম্যান। এই নিয়ে কখনও কোনও অভিযোগ করেনি। ও খুব ভাল করে জানে দলের ওকে যে ভূমিকায় প্রয়োজন, ও সেটাই পালন করবে। ওকে যে পজিশনেই খেলানো হোক, ও নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে। ওর মতো একজন খেলোয়াড়কে দলে পেয়ে আমরা গর্বিত।“
এদিকে দলের লড়াকু মানসিকতা নিয়ে অস্কার বলেন, “ “আমাদের দলের মধ্যে যে ইতিবাচক প্রবণতা, আত্মবিশ্বাস এসেছে, তা বজায় থাকলে আমরা ক্রমশ টেবলের ওপরের দিকে উঠব। কাজটা মোটেই সোজা নয়। কারণ, আট ম্যাচে শূন্য থেকে শুরু করতে হয়েছে আমাদের। আরও ওপরে উঠতে হবে আমাদের। অন্যান্য দলগুলো, যারা শুরু থেকেই সাফল্য পাচ্ছে, তারা আরও এগিয়ে আছে। ওদের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব আরও কমাতে হবে।“
আরও পড়ুন- Breakfast Sports : ব্রেকফাস্ট স্পোর্টস
–
–
–
–
–
–
–
–