উপনির্বাচনের ছয়ে ছয় হাঁকিয়েছিল তৃণমুল। সেই ছবিরই পুনরাবৃত্তি হল বাগদা সমবায় ভোটে। ১৪ বছরের বনবাস কাটিয়ে ডহরপোতা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোটে বাজিমাত করে ৬টি আসনেই জয় ছিনিয়ে নিল তৃণমূল কংগ্রেস। শান্তনু ঠাকুরের চেনা এলাকায় খাতাই খুলতে পারল না বিজেপি। মুখ পুড়ল পদ্ম শিবিরের। ছয়টি আসনের মধ্যে একটি তপসিলি জাতি, দুটি মহিলা ও তিনটি সাধারণ প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত ছিল। সবকটি আসনেই বিজেপিকে হারিয়ে জয় পেল মা মাটি মানুষের দল। এই জয় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় বলেই দাবি জয়ী প্রার্থীদের।
গত বনগাঁ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি জয় পেলেও পরবর্তীতে বাগদা বিধানসভা উপ নির্বাচনে খেলা পাল্টে দেয় তৃণমূল। এবার বিজেপির এককালীন শক্ত ঘাঁটি বাগদার সমবায়ও দখল করল তৃণমূল। শান্তনু ঠাকুরের লোকসভা কেন্দ্রের মধ্যেই ৬ টি আসনে জয় পেল তৃণমূল কংগ্রেস। বাগদা ব্লকের রনঘাট গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ডহরপোতা সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতির ভোট ছিল রবিবার। ৭৬৫ জন ভোটারের মধ্যে ৬ আসনে তৃণমূল ও বিজেপি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। এদিন ৫৭৬ জন ভোটার ভোট দেন। গননার পর দেখা যায় বিজেপির ৬ জন প্রার্থীই তৃণমূলের কাছে গো হারান হারে । ফলে ৬ টি আসনেই তৃণমূলের প্রার্থীরা নিরঙ্কুশ জয় পায়। ভোট গণনার পরে উপস্থিত হয়েছিলেন বাগদার বিধায়ক মধুপর্ণা ঠাকুর। সর্বকনিষ্ঠা বিধায়ক বলেন, ওদের আর কেউ ভোট দিচ্ছে না। বিজেপি বনগাঁয় অপ্রাসঙ্গিক হয়ে যাচ্ছে। গত লোকসভা নির্বাচনে পর থেকেই বিজেপির হার শুরু হয়েছে। আগামী ২০২৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে বনগাঁর সবকটি আসনেই বিজেপির পরাজয় হবে। কারণ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক উন্নয়নে বাংলার মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। সেখানে বিজেপি ক্রমশই অপ্রাসঙ্গিক হয়ে পড়ছে। মানুষের সঙ্গে তাদের দূরত্ব বাড়ছে। তাঁর সংযোজন, এই জয়ের ফলে কৃষকেরা তাদের কৃষি কাজের জন্য আরও বেশি বেশি ঋণ নিতে পারবেন।
আরও পড়ুন- এবার বাউন্সারদের বিরুদ্ধে পুলিশকে ধাক্কার অভিযোগ! অল্লুর বাড়িতে হামলা ‘ছাত্র’দের
_
_
_
_
_
_
_
_
_