দক্ষিণ ২৪ পরগণার ক্যানিং থেকে এক যুবককে গ্রেফতার করা হল জঙ্গি গোষ্ঠীর সক্রিয় সদস্য হওয়ার অভিযোগে। ক্যানিংয়ের (Canning) একটি ভাড়া বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ (J&K Police)। তাকে আলিপুর আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানায় কাশ্মীর পুলিশ। কাশ্মীরের নিষিদ্ধ জঙ্গি গোষ্ঠীর সদস্য হওয়ার অভিযোগ ধৃত জাভেদ মুন্সির বিরুদ্ধে।
পুলিশ সূত্রে জানা যায়, কয়েক মাস আগে ক্যানিং হাসপাতালের কাছে একটি বাড়িতে ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে জাভেদ মুন্সির (Javed Munshi) শ্বশুরবাড়ির পরিবার। তারা এলাকায় শাল (Kashmiri shawl) ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল, ঠিক যেভাবে দক্ষিণ বঙ্গের বিভিন্ন সফস্বল শহরে প্রতি বছরর কাশ্মীর থেকে আসা শালওয়ালাদের ঘাঁটি গাড়তে দেখা যায়। সেভাবেই পরিবারের সঙ্গে জাভেদও ক্যানিংয়ে এসে থাকতে শুরু করে।
শনিবার জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশের পক্ষ থেকে সন্দেহভাজন জঙ্গির লুকিয়ে থাকার বিষয় নিয়ে রাজ্য পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সেই মতো রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর (Bengal STF) সরযোগিতায় কাশ্মীর পুলিশ ক্যানিংয়ে (Canning) হানা দেয়। গ্রেফতার করা হয় জাভেদকে। কাশ্মীর পুলিশের দাবি, জাভেদ তেহরিক-ই-মুজাহিদিন জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে যুক্ত। ১৯৯০ সাল থেকে সেই সংগঠনের সক্রিয় সদস্য সে। ডেটা এন্ট্রির (data entry) কাজ সংগঠনের হয়ে করত এই জাভেদ মুন্সি। কাশ্মীরের একাধিক নাশকতার সঙ্গে নাম জড়িয়ে রয়েছে জাভেদের দাবি, কাশ্মীর গোয়েন্দা বিভাগের। ২০১৯ সালে এই সংগঠনকে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক (MEA) নিষিদ্ধ ঘোষণা করার পর থেকেই খোঁজ চলছিল জাভেদের। আদালত কাশ্মীর পুলিশের আবেদনে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ট্রানসিট রিমান্ড মঞ্জুর করে জাভেদের।
তবে ক্যানিং হাসপাতাল (Canning Hospital) এলাকার একটি বাড়িতে জঙ্গি লুকিয়ে থাকার ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। বিগত বেশ কয়েক বছর ধরে জাভেদ এই এলাকায় এসে থাকত। গুলশন হাউস নামের বাড়ি থেকেই রমরমিয়ে চলত কাশ্মীরি শালের ব্যবসা। এই গ্রেফতারিতে বাড়ির মালিক অত্যন্ত আতঙ্কিত।
–
–
–
–
–
–
–