সিপিএমে পদত্যাগের হিড়িক জেলা কমিটি থেকে, বেনজির ঘটনা দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলনে

0
3

সিপিএমের জেলা সম্মেলনে নজিরবিহীন ঘটনা। জেলা কমিটি ঘোষণার পর প্যালেন থেকে হিড়িক পড়ে গেল পদত্যাগের। ১৮ জন কমিটি সদস্য একের পর এক পদত্যাগ করলেন। কমিটির প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করে এই পদত্যাগে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পরিস্থিতি। যা এতদিন দেখা যায়নি, সেই স্বৈরাচারী ঘটনার সাক্ষী রইল সিপিএমের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সম্মেলন।

এবার বিষ্ণুপুরে বসেছিল সিপিএমের জেলা সম্মেলনের আসর। সেই সম্মেলনে ধুন্ধুমার গৃহযুদ্ধ বেধে যায় দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সিপিএমে। জেলা কমিটি থেকে দোর্দণ্ডপ্রতাপ খোকন ঘোষদস্তিদার-সহ তিনজনের বাদ পড়া নিয়েই অপ্রীতিকর ঘটনার সূত্রপাত। বাদ দেওয়া হয় অনির্বাণ ভট্টাচার্য, রশিদ গাজী, অপূর্ব প্রামাণিকদের। এরপরই শুরু হয়ে যায় প্রতিবাদ। সেই প্রতিবাদের ফলে ভোটাভুটির পরিস্থিতি তৈরি হয়। কিন্তু তার থেকেও বাজে পরি্স্থিতির মুখে পড়ে সিপিএমের রাজ্য নেতৃত্ব। তাদের সামনেই উত্তেজনার পারদ চড়িয়ে পদত্যাগ করতে থাকেন নেতা-নেত্রীরা। একে একে পদত্যাগ করে ফেলেন ১৮ জন। সেই তালিকায় ছিলেন রাহুল ঘোষ, চন্দনা ঘোষ দস্তিদার-সহ জেলা কমিটির পরিচিত মুখেরা। অভিযোগ ওঠে সুজন চক্রবর্তী ঘনিষ্ঠ নেতাদের বাদ দেওয়া হয়েছে। মূলত গৃহযুদ্ধ বেধে যায়. দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা কমিটি বিভাজিত হয়ে যায় শমীক লাহিড়ী গোষ্ঠী বনাম সুজন চক্রবর্তী গোষ্ঠীতে। পদত্যাগ করেন পদ্ম দাশগুপ্ত। সম্মেলন প্রক্রিয়া থেকে বিরত রাখেন বর্তমান বাম রাজনীতির অন্যতম পরিচিত মুখ প্রতীকূর রহমান। পদত্যাগ করেন সুজন চক্রবর্তীর স্ত্রী মিলি চক্রবর্তীও।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এখন তুমুল চর্চা শুরু হয়ে যায় বামফ্রন্টের অন্দরেও। বড় শরিক সিপিএমের এই গোষ্ঠীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে আসায় উদ্বিগ্ন রাজনৈতিক মহল। শেষে ডামাডোল মিটিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন শ্রীদীপ ভট্টাচার্য, কল্লোল মজুমদাররা। জেলা কমিটি থাকে শমীক লাহিড়ী শিবিরের হাতেই। জেলা সম্পাদক পদ থাকে অপরিবর্তিত।

আরও পড়ুন- হাসিনার আমলে গুমকাণ্ডে দিল্লি যোগের অভিযোগ ইউনুস সরকারের!