দিলীপেই আস্থা, নতুন বছরেই নতুন রাজ্য কমিটি বিজেপির

0
3

লোকসভা নির্বাচনে ধরাশায়ী। সদস্য সংগ্রহ অভিযানের টার্গেটও পূরণ করতে ব্যর্থ বিজেপির বর্তমান রাজ্য নেতৃত্ব। এরপরে পুরনো দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) জমানাতেই আস্থা রাখতে চলেছে বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব, দাবি বিজেপি সূত্রের। রাজ্যে বিজেপিকে চাঙ্গা করতে দিলীপ ঘোষের গ্রহণযোগ্যতাতেই ফের আস্থা রাখতে চলেছে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।

বিজেপির এক ব্যক্তি এক পদ নীতির কারণে বর্তমানে বিজেপি রাজ্য সভাপতির (state president) পদ খালি রয়েছে। সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) কেন্দ্রের মন্ত্রী হওয়ার পর এই পদে কাকে বসানো হবে তা নিয়ে ছয় মাসের বেশি টালবাহানা চলছে। এবার সেই পদে ফের দিলীপ ঘোষকেই ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের (Loksabha Election 2024) পরেই দিলীপ ঘোষকে দলের ভিতরে রাজনীতি করে হারানোর অভিযোগ উঠেছে। তাঁর জেতা আসন থেকে সরিয়ে শেষ মুহূর্তে এমন একটি জায়গায় তাকে বসানো হয়েছে যেখানে তৃণমূল শক্তিশালী ছিল। এরপরেও দল ও সংগঠনের স্বার্থে তিনি সেখান থেকেই লড়াই করে হেরে গিয়েছেন।

সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumder) রাজ্য সভাপতি পদে থাকাকালীন বাংলায় বিজেপির হাল ফেরানোর বদলে আরো খারাপ দিকে ঠেলে দিয়েছেন। বিধায়করাও দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। লোকসভায় এক ধাক্কায় কমে গিয়েছে অনেকগুলি আসন। সর্বশেষ সদস্য সংগ্রহের এক কোটি টার্গেটের (target) মধ্যে বিজেপি নেতৃত্বের দাবি ৩০ লক্ষ সদস্য সংগ্রহ হয়েছে। যদিও বিজেপির আরেক অংশের দাবি এই সংখ্যাটা আড়াই লক্ষের বেশি নয়। অন্যদিকে দিলীপ ঘোষের (Dilip Ghosh) আমলে শক্ত ভিতের উপর বিজেপি এই রাজ্যে প্রতিষ্ঠা হওয়ার নিশ্চিত করেছিল। বিধায়ক থেকে সাংসদ সংখ্যা সবই বেড়েছিল।

সুকান্ত মজুমদারের পরিচালন ক্ষমতার উপর এর ফলে প্রশ্ন আরো জোরালো হয়েছে। অন্যদিকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikary) নেতৃত্ব নিয়ে তো বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন তুলেছেন কর্মীরা। নিজের এলাকাতেই একের পর এক পঞ্চায়েত হাত ছাড়া হয়েছে। ফলে সুকান্ত, শুভেন্দুর থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব আবার দিলীপের উপর ভরসা রাখারই পথে। নতুন বছরের শুরুতে নতুন রাজ্য কমিটি গঠিত হবে বিজেপির। নতুন রাজ্য সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পথে সেখানে দিলীপই এখন এগিয়ে।