কন্টেনার ভরে পণ্য সামগ্রী পৌঁছালো চট্টগ্রামে (Chittagong)। একসঙ্গে প্রায় আটশো কন্টেনার পণ্য সামগ্রী পৌঁছালো বাংলাদেশে (Bangladesh), যা সাম্প্রতিক অতীতে কবে হয়েছে মনে করা দুষ্কর। পাকিস্তানের সঙ্গে জলপথে পণ্য পরিবহন শুরু হওয়ার পরে দ্বিতীয়বারেই দ্বিগুণের বেশি পণ্য নিয়ে এলো পণ্যবাহী জাহাজ। কিন্তু এত কন্টেনারে কী এলো, তা নিয়ে কোনও প্রশ্ন করা যাবে না, এমনটাই নির্দেশিকা জারি করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। ফলে কী রয়েছে পাকিস্তানের পাঠানো কন্টেনারে (container), জানার কোনও পথই থাকছে না।
অন্তর্বর্তী সরকার (interim government) ক্ষমতায় আসার পরই পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক নতুনভাবে জোরালো করতে শুরু করেছে বাংলাদেশ। শিক্ষা থেকে বাণিজ্য – সব দিকেই ভারতের বিকল্প হিসাবে সামনে আনা হচ্ছে পাকিস্তানকে। সেই মতো চিনি ও আলুর বিশাল বরাত পেয়েছে পাকিস্তান। প্রথমবার নভেম্বরে পাকিস্তান (Pakistan) থেকে পণ্যবাহী জাহাজ ভারতে আসে। সৌদি আরব (Saudi Arabia) থেকে পণ্য আনা জাহাজে নিজেদের পণ্যও পাঠায় পাকিস্তান। তবে প্রথমবার কন্টেনারের সংখ্যা ছিল ২৯৭টি। যা দ্বিতীয়বারেই বেড়ে হয় প্রায় ৮২৫টি। আর মহম্মদ ইউনূস সরকারের নির্দেশ মতো সেই পণ্য বোঝাই কন্টেনার পরীক্ষা না করেই তোলা হয়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
২০০৪ সালে এভাবেই কন্টেনার পরীক্ষা করতে গিয়ে বেরিয়ে পড়েছিল অস্ত্র, যা আলফা জঙ্গিদের মদত দিতে পাঠানো হচ্ছিল চট্টগ্রামের (Chittagong) পথে। এখনও সেই মামলায় জেল খাটছে আলফা (ULFA) জঙ্গি নেতা থেকে বিএনপি (BNP) নেতারা। তবে এবারে আটঘাঁট বেঁধে আগে থেকেই পরীক্ষা না করার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। একদিকে অস্ত্র পাচার, জঙ্গি গোষ্ঠী তৈরির মত প্রবণতা বাড়া নিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে নতুন করে আশঙ্কায় পড়ছে পাক-বাংলাদেশ জল যোগাযোগ নতুন করে তৈরি হওয়ার কারণে। সেই সঙ্গে এই জাহাজ সৌদি আরব থেকে পাকিস্তান, মালয়েশিয়া হয়ে ভারত হয়ে বাংলাদেশ পৌঁছায়। সেক্ষেত্রে ভারতের বন্দরের (Indian sea port) নিরাপত্তা নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
–
–
–
–
–
–
–
–