তদন্ত নিয়ে সন্দেহ মৃতার পরিবারের! CBI-কে R G Kar মামলার নথি পেশের নির্দেশ হাই কোর্টের

0
2

মেয়ের ধর্ষণ-খুনের তদন্তে যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে চেয়েছিলেন আর জি করের (R G Kar Medical College and Hospital) মৃতা ডাক্তার-পড়ুয়ার মা-বাবা। কিন্তু এবার সেই সিবিআই তদন্ত নিয়েই সন্দেহ প্রকাশ করে ফের আদালতের দ্বারস্থ হলেন তাঁরা। বৃহস্পতিবার, বাবা-মায়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ওই মামলা সংক্রান্ত নথি হাই কোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেন সিবিআইকে।
আরও খবর:ঝাড়খণ্ডে নাবালিকা ধ.র্ষণ-মৃ.ত্যু, অভিযুক্তকে বেদম প্রহার স্থানীয়দের 

আর জি করের (R G Kar Medical College and Hospital) তরুণী চিকিৎসকের নৃশংস ধর্ষণ-খুনের ঘটনায় তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে অভিযুক্তকে ধরে কলকাতা পুলিশ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রথমে ফোনে ও পরে স্বয়ং গিয়ে দেখা করেন মৃতার পরিবারের সঙ্গে। সিআইডি তদন্তের জন্য এক সপ্তাহ সময় চান। কিন্তু তাতে ভরসা রাখেনি মৃতার পরিবার। তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হয় সিবিআই তদন্তের আর্জি জানান। আদালত তার নির্দেশ দেয়। সেই মতো তদন্তভার যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার হাতে। তারাও সেই সঞ্জয় রাইকেই মূল অভিযুক্ত বলে চার্জ গঠন করে, যাকে ধরে ছিল কলকাতা পুলিশ। এমনকী, তদন্তের ৯০দিন পরেও অপর দুই অভিযুক্ত আর জি করের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ ও টালা থানার প্রাক্তন ওসি অভিজিৎ মণ্ডলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দিতে না পারায় তাঁরা এই মামলায় জামিন পান। অথচ রাজ্য ঘটা ধর্ষণ-খুনের একাধিক ঘটনায় অতি দ্রুত তদন্ত শেষ করে দোষীদের ফাঁসি সাজা দিইয়েছে রাজ্য পুলিশ।  এর পর থেকে সিবিআই তদন্ত নিয়ে বিরক্ত প্রকাশ করেন মৃতার বা-বাবা।

সিবিআই তদন্তে কোনও আস্থা নেই বলে এদিন চিকিৎসক তরুণীর ধর্ষণ খুনের ঘটনায় নতুন করে তদন্ত চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court) মামলা দায়ের করে মৃতার পরিবার। তাদের কথায়, “বর্তমানে যে তদন্ত চলছে তাতে আস্থা নেই। তাই নতুন করে খুনের তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হোক।” তাদের অভিযোগ, “তদন্তের নামে তথ্যপ্রমাণ লোপাট হয়েছে। ইতিমধ্যেই ট্রায়াল শুরু হয়েছে। সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে। এখনই আদালত হস্তক্ষেপ না করলে পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যাবে।”  বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ (Tirthankar Ghosh) মামলার অনুমতি দিয়ে সিবিআইকে (CBI) যুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন।

চিকিৎসক তরুণীর মৃত্যুর তদন্তে ইতিমধ্যেই শিয়ালদহ কোর্টে ট্রায়াল চলছে। এখনও পর্যন্ত ৫০ জনের সাক্ষ্য প্রমাণ গ্রহণ করেছে আদালত। শুক্রবার থেকে অভিযুক্ত সঞ্জয়ের কথা শুনবেন বিচারপতি। তার আগেই বৃহস্পতিবার নয়া মামলা হল কলকাতা হাইকোর্টে। নির্যাতিতার পরিবার জানিয়েছে, এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় এজেন্সি (CBI) যে তদন্ত করছে তাতে তাঁদের আস্থা নেই। তদন্তের নামে তথ্য প্রমাণ লোপাট হয়ে গেছে বলে নিহত চিকিৎসকের পরিবার অভিযোগ করেছে। মৃতা চিকিৎসকের পরিবারের অভিযোগ, যেভাবে কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্ত আর চার্জশিটের নামে নাটক চলছে তাতে একের পর এক অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যাচ্ছেন। বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ আগামী সোমবার এই বিষয়টি এজলাসে উল্লেখ করার কথা জানিয়েছেন। নির্যাতিতার বাবা-মায়ের আবেদনের ভিত্তিতে বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ওই মামলা সংক্রান্ত নথি সিবিআইকে হাই কোর্টে পেশ করার নির্দেশ দেন। ২৪ ডিসেম্বর মামলার পরবর্তী শুনানি।