SCC: ৫০০০ অযোগ্যর জন্য কেন ২৬০০০-এর চাকরি বাতিল? আদালতে সুপ্রিম কোর্টে প্রশ্নের মুখে CBI

0
2

শীর্ষ আদালতে স্কুল সার্ভিস কমিশনের ২৬০০০ চাকরি বাতিল মামলার শুনানিতে বড় প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই। বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে এই মামলার শুনানিতে নিজের পর্যবেক্ষণে প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না বলেন, স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) শিক্ষক-অশিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে তদন্ত করতে নেমে যোগ্য এবং অযোগ্য প্রার্থীদের আলাদা করতে পারেনি CBI।

প্রধান বিচারপতির পর্যবেক্ষণের সুরেই কলকাতা হাই কোর্টের রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন আবেদনকারীদের আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি। তিনি সওয়ালে বলেন, “২০১৮ সাল থেকে আমরা ১০০০০ লোক চাকরি করছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ নেই। সিবিআই চারটি স্তরে তদন্ত করেছে, তাঁদের বিরদ্ধে কিছুই পাওয়া যায়নি৷ সেই ১০০০০ চাকুরিরতর ভবিষ্যত কী হবে? হাইকোর্ট এই ভাবে ২৬০০০ লোকের চাকরি বাতিল করার অর্ডার দেয় কী করে?  অরিজিনাল ওএমআর শিট পাওয়া যাচ্ছে না বলে তাঁদের জীবন অন্ধকার করা যায় না!”

অভিষেক মনু সিংভি যখন প্রশ্ন তুলেছেন ১০০০০ যোগ্য লোকের চাকরি খারিজের যৌক্তিকতা তুলে ধরে, সেই সময়েই স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) তরফে সওয়াল করতে গিয়ে বর্ষীয়ান আইনজীবী জয়দীপ গুপ্ত দাবি করেন, আদালতের নির্দেশ হলে যোগ্য এবং অযোগ্য ব্যক্তিদের বাছাইয়ের কাজ করে দেবে স্কুল সার্ভিস কমিশন৷ তাঁর কথায়, ”২৬০০০ লোক চাকরি হারাতে পারে এই বিষয়টি নিয়ে আমরা খুবই উদ্বিগ্ন৷  আমরা জানি কয়েকজন দুর্নীতি করেছে, কিন্তু সবাই নয়। ২২ লক্ষ প্রার্থী ছিল। দফায় দফায় পরীক্ষা হয়েছে। সবার ওএমআর শিট সংরক্ষণ করার জায়গা ছিল না। রুল বলেছে এক বছর পরে ওএমআর শিট ধ্বংস করে ফেলা যায়। ২০২১ সাল পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।”

অভিষেক মনু সিংভির মতোই ২৬০০০ চাকরি বাতিলের যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী শ্যাম দিওয়ান।

এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ওএমআর শিটে রদবদল নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। জানতে চান, অযোগ্যদের প্রাধান্য দিতে কি অতিরিক্ত শূন্যপদ তৈরি করা হয়েছিল। রাজ্যের আইনজীবী সাফ বলেন, হাই কোর্টের অনুমতি ছাড়া কোনও নিয়োগ সম্ভব নয়। আর সিবিআই যখন নির্দিষ্ট সংখ্যক অযোগ্যদের চিহ্নিত করতে পেরেছে তাহলে কেন সকলের নিয়োগ বাতিল করা হবে? এরপর সিবিআই তদন্ত নিয়েও অসন্তোষ প্রকাশ করেন CJI সঞ্জীব খান্না। রাজ্যের আইনজীবী রাকেশ দ্বিবেদি (Rakesh Dwivedi) এদিন জানিয়েছে, সাধারণত এক বছর পরে ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়। তবে ‘মিরর ইমেজ’ সংরক্ষণ করে রেখেছে এসএসসি (SSC)। এই প্রসঙ্গে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সাধারণভাবে এটা ঠিক নয়। কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। এসএসসি করেনি। তারা দায়িত্ব দিয়েছিল নাইসাকে। নাইসা আবার স্ক্যানটেককে তথ্য দেয়। তারাও সংরক্ষণ করেনি। স্ক্যানটেক স্ক্যান করেই ছেড়ে দিয়েছিল। একটা জিনিস পরিষ্কার, আসল এবং স্ক্যান ওএমআর শিট একই নয়।” সব পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে প্রধান বিচারপতি জানান, ৭ জানুয়ারি হবে এই মামলার পরবর্তী শুনানি।