রাজ্যকে কেন্দ্রীয় বঞ্চনার মধ্যেই জারি রয়েছে রাজ্যের সবকটি জনকল্যাণমুখী প্রকল্প। উপরন্তু রাজ্যবাসীর জন্য প্রকল্পে নতুন সংযোজন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের আয় ব্যয় কোন পথে চালিত হবে তা নির্ধারণ করতে গঠিত হয়ে গেল ষষ্ঠ রাজ্য অর্থ কমিশন(sixth finance commission)। কমিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন প্রাক্তন মুখ্য সচিব তথা অর্থ সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী (Harikrishna Dwivedi)। পঞ্চম অর্থ কমিশনে পঞ্চায়েত স্তর থেকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ছিল সুখবর। এবারেও পঞ্চায়েত পৌরসভার দিকে বিশেষ লক্ষ্য থাকবে কমিশনের।
কমিশনের সদস্য
হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর (Harikrishna Dwivedi) নেতৃত্বে গঠিত কমিশনের ৫ সদস্যের বাকিরা হলেন প্রাক্তন আইএএস (IAS) বর্ণালী বসু প্রাক্তন ডব্লিউবিসিএস (WBCS) আশিস চক্রবর্তী ও ব্যাক কর্তা রুমা মুখোপাধ্যায়। এঁরা তিনজনেই পঞ্চম অর্থ কমিশনেরও সদস্য ছিলেন। এছাড়াও রয়েছেন প্রাক্তন আইএএস অজয় ভট্টাচার্য।
কমিশনের লক্ষ্য
অর্থ কমিশন রাজ্যের (state finance commission) পঞ্চায়েত এবং পুরসভাগুলির আর্থিক পরিস্থিতি পর্যালোচনা করবে। পাশাপাশি বিভিন্ন খাতে রাজ্য সরকারের আয়ের কত অংশ এই স্থানীয় সংস্থাগুলি পাবে তাও বিচার করবে কমিশন। শুধু রাজ্য সরকারের প্রদেয় অর্থ নয়, পঞ্চায়েত-পুরসভা কীভাবে নিজেদের আয় বৃদ্ধি করবে, তার রূপরেখাও তৈরির দায়িত্ব রাজ্য অর্থ কমিশনের ওপর ন্যস্ত।
কমিশনের সময়সীমা
কমিশনের মেয়াদ পাঁচ বছর। যদিও কাজ শুরু করার ছয় মাসের মধ্যেই ষষ্ঠ অর্থ কমিশন (sixth finance commission) তাদের প্রাথমিক সুপারিশ রাজ্যপালের কাছে জমা দেবে।
পঞ্চম অর্থ কমিশনের সুপারিশে রাজ্যের পঞ্চায়েতগুলির জন্য একটা বড় অংকের টাকা বরাদ্দ হয়েছিল। যার ফলে পঞ্চায়েতের ত্রিস্তরে অর্থের ভারসাম্য অনেকটা আনা গিয়েছিল। এছাড়াও রাজ্য সরকারি কর্মীদের বেতন বৃদ্ধির সুপারিশ করেছিল পঞ্চম অর্থ কমিশন। সেই মতো বেতন ও মহার্ঘ্য ভাতা বৃদ্ধি হয়েছিল রাজ্যের সরকারি কর্মীদের।
–
–
–
–
–
–