জীবনের ঝুঁকি নিয়েও সন্ন্যাসী চিন্ময়কৃষ্ণ দাসের হয়ে চট্টগ্রাম আদালতে সওয়াল করবেন আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ। চিকিৎসার প্রয়োজনে ব্যারাকপুরে ছেলের কাছে এসেছেন তিনি। তিনি বলেন, আমি মরতে ভয় পাই না। আমি শুধু আইনজীবী নই, এক জন মানবাধিকার কর্মীও। তার সংযোজন, পালিয়ে যাওয়ার জন্য ভারতে আসিনি। ২ জানুয়ারি ফের চিন্ময়কৃষ্ণকে আইনি সহায়তা দেওয়ার জন্য আদালতে যাব।
মানবাধিকার রক্ষায় অকুতোভয়, মুক্তিযোদ্ধা রবীন্দ্র ঘোষের কাছে মঙ্গলবার যান কার্তিক মহারাজ।
‘মরলে সিংহের মতো মরব ‘, বললেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী রবীন্দ্র ঘোষ !
তাকে প্রশ্ন করা হয়, ২ জানুয়ারি আপনি আবার লড়াই লড়বেন। আজকে কার্তিক মহারাজ আপনার কাছে এসেছেন। কী বলবেন ?
তার স্পষ্ট কথা, আশীর্বাদ করতে এসেছে, যাতে করে আমি, লড়তে পারি। আমি লড়বই। প্রাণ তো একদিন যাবে।আমরা সবাই মারা যাব। আমরা তো সবাই বেঁচে থাকবো না। কিন্তু দেখে ছাড়ব, আইনটা কতটুকু পর্যন্ত প্রলম্বিত হতে পারে। কারণ আমি জর্জ সাহেবের সঙ্গে লড়াই করছি। আমিও তো মরব, এটা আমি জানি। কিন্তু আমরা কাওয়ার্ডের মতো মরব না। মরতে গেলে একেবারে সিংহের মতো মরব।
অবশ্যই আমরা চিন্ময়কৃষ্ণের মুক্তি করানোর জন্য লড়াই করছি। এখন তো কোর্ট বন্ধ। ২ তারিখ মামলার শুনানি। আমি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম চলে যাব। চট্টগ্রামে আমার নিজের বাড়ি। মাস্টারদা সূর্য সেনেরও বাড়ি। শুনেছেন তো ? কীভাবে লড়াই করতে হয়, কীভাবে অধিকার অর্জন করতে হয়, সেটা আমরা ভাল করেই জানি।
বর্তমানে যে পরিস্থিতি চলছে, বাংলাদেশ নিয়ে কী বলবেন ? এই প্রশ্নেরও সরাসরি জবাব দিয়েছেন প্রবীণ আইনজীবী। তিনি বলেন, বাধা পেয়েছিলাম ,এটা ঠিক।আমাকে পুলিশ তো প্রোটেকশন দিয়ে নিয়ে গিয়েছে। আমাকে কেন প্রোটেকশন দিয়ে কোর্টে যেতে হবে ? ! নিশ্চয় মৌলবাদীদের আমার উপরে রাগ রয়েছে ! আমি মৌলবাদী কেন বলছি ? তারা যে কোনও সম্প্রদায়ের হতে পারে। কিন্তু তাঁরা তো আমাদের ধর্মটাকে শেষ করে দেওয়ার জন্য, এরা কিন্তু একত্র হয়েছে।
–
–
–
–
–
–
–





























































































































