ভারতের সংবিধান রচয়িতা বি আর আম্বেদকরকে (B R Ambedkar) অবমাননামূলক কথা সংসদে দাঁড়িয়ে বললেন কেন্দ্রেরই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। স্বাভাবিকভাবেই গোটা দেশ জুড়ে তার প্রতিবাদ হল। রাজনৈতিক দল তাঁর পদত্যাগ চাইল, তার বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ নোটিশ আনা হল। এরপরেও বিজেপির পক্ষ থেকে অমিত শাহকে কোনরকম সতর্ক করা তো দূরের কথা, দিনভর তাঁর বক্তব্যের সাফাই দিতে ব্যস্ত থাকলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (Narendra Modi) থেকে খোদ অমিত শাহ নিজে। দুজনের মুখে উঠে এলো না আম্বেদকর প্রণিত সংবিধান (Constitution of India) রক্ষার কথা। বরঞ্চ গুরুত্ব পেল কতগুলি সৌধ তৈরি করেছেন তাঁরা, সেই তত্ত্ব।
রাজ্যসভায় (Rajyasabha) দাঁড়িয়ে অমিত শাহ (Amit Shah) বি আর আম্বেদকরকে নিয়ে যে অবমাননামূলক মন্তব্য করেছিলেন। মঙ্গলবার থেকেই তার প্রতিবাদে সরব হয়েছিল বিরোধীরা। বুধবার সকাল থেকে তার জবাব দেওয়া শুরু করেন খোদ নরেন্দ্র মোদি। যদিও মঙ্গলবার গুরুত্বপূর্ণ ‘এক দেশ এক ভোট’ (ONOE) বিল পেশ হওয়ার সময়ও তিনি সংসদে উপস্থিত হওয়ার সময় পাননি। উত্তর দিতে মোদির তৎপরতায় স্পষ্ট বিজেপির সেকেন্ড ইন কমান্ড অমিত শাহকে বাঁচাতে তাঁর তৎপরতা কতখানি। কার্যত কংগ্রেসকে (Congress) বিঁধেই তিনি অমিত শাহের অবমাননার সাফাই দেওয়ার চেষ্টা করেন।
যে সংসদে দাঁড়িয়ে অমিত শাহ সংবিধান প্রণেতাকে অবমাননা করেছেন, সেই সংসদেই তাঁর বিরুদ্ধে প্রিভিলেজ মোশন আনেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন (Drek O’Brien)। যদিও নিজের সাফাই দিতে গিয়ে প্রিভিলের নোটিশ সংক্রান্ত বিষয়টি চেয়ারম্যানের হাতেই ছেড়ে দেন অমিত শাহ (Amit Shah)। তাঁর দাবি রাজ্যসভার বক্তব্যকে বিকৃতভাবে দেখানো হয়েছে।
সেইসঙ্গে মোদি-শাহর একযোগে আক্রমণ প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরুকে (Jawaharlal Nehru)। কংগ্রেস আমলে আম্বেদকরের (B R Ambedkar) অবমাননার উদাহরণ তুলে ধরলেও তৃণমূলের আনা প্রিভিলেজ নোটিশ নিয়ে কোন উত্তর দিতে পারেননি অমিত শাহ। নিজের দোষ ঢাকতে বিজেপি আমলে কোন কোন সৌধ তৈরি হয়েছে আম্বেদকরের নামে সেই তালিকা পেশ করতেই ব্যস্ত থাকেন তিনি।
–
–
–
–
–
–
–