যুবভারতীতে দুরন্ত কামব্যাক লাল-হলুদের, দু’গোলে পিছিয়েও ৪-২ গোলে জয় ইস্টবেঙ্গলের

0
4

একেই বলে দুরন্ত কামব্যাক। দু’গোলে পিছিয়ে পড়ে ৪-২ গোলে জয়। এদিন যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এমনটাই দেখল লাল-হলুদ সমর্থকরা। এদিন আইএসএল-এ ঘরের মাঠ যুবভারতীতে খেলতে নেমেছিল ইস্টবেঙ্গল এফসি। লাল-হলুদের প্রতিপক্ষ ছিল পাঞ্জাব এফসি। সেই ম্যাচে দু’গোলে হারতে হারতে ৪-২ গোলে জিতল অস্কার ব্রুজোর দল। ইস্টবেঙ্গলের হয়ে গোল পি ভি বিষ্ণু, হিজাজি মাহের, ডেভিড এবং একটি আত্মঘাতি গোল পাঞ্জাব এফসির খেলোয়াড় সুরেশ মিতেই। লাল-হলুদের চার গোলই হয় দ্বিতীয়ার্ধে। এদিকে ম্যাচের ৬৪ মিনিয়টে দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়েন পাঞ্জাবের লুংডিমের ।

প্রথমার্ধ দেখলে বোঝা যাবে না দ্বিতীয়ার্ধে এত লড়াই । প্রথমার্ধে নিজেদের খেলা ধরতেই পারেনি অস্কার ব্রুজোর দল। যার ফলে প্রথমার্ধে দু’গোল হজম করে ইস্টবেঙ্গল। ডিফেন্স থেকে অ্যাটাক প্রথমার্ধে সব কিছুই যেন ছিল তলানিতে। যার ফলে ম্যাচের ২১ মিনিটে প্রথম গোল হজম করে লাল-হলুদ। পাঞ্জাবকে গোল করে এগিয়ে দেন আসমির। যদিও সেই গোলের জন্য দায়ি মহম্মদ রাকিপ। তার ভুলেই গোল হজম করে লাল-হলুদ। পাঞ্জাবের হয়ে দ্বিতীয় গোলটি আসে ৩৯ মিনিটে। গোল করে পাঞ্জাবকে এগিয়ে দেন ভিদাল। এই গোলের ক্ষেত্রে কাঠগড়ায় তোলা যেতেই পারে আনোয়ার আলিকে। প্রথমার্ধে একের পর এক আক্রমণ চালায় পাঞ্জাব। সেই সময় যেন লাল-হলুদকে দীশেহারা দেখায়। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে পিছিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল।

ম্যাচের দ্বিতীয়ার্ধে বদলে যায় রং। অস্কার ব্রুজোর কয়েকটি সংশধন । আর তাতেই জ্বলে ওঠে লাল-হলুদ। ম্যাচের শুরুতেই লাল-হলুদের হয়ে ১-২ করেন হিজাজি। ডান দিক থেকে ক্লেটনের ফ্রিকিকে মাথা ছুঁইয়ে গোল করেন হিজাজি। এরপর মহেশকে তুলে পিভি বিষ্ণুকে মাঠে নামন অস্কার। ব্যাস। ঘুরে যায় ম্যাচের রং। মাঠে নেমেই ৫৪ মিনিটে সমতা ফেরান বিষ্ণু। মাঝমাঠ থেকে আনোয়ার আলির থেকে ক্রস পেয়েছিলেন বিষ্ণু। বল ধরে বিপক্ষের গোল লক্ষ্য করে শট মেরেছিলেন। পঞ্জাবের এক ফুটবলারের গায়ে লেগে তা গোলে ঢুকে যায়। এরপর লাল-হ্লুদের তৃতীয় গোলটি আসে ৬০ মিনিটে। ডান দিক থেকে নন্দকুমারের পাস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজের গোলেই ঢুকিয়ে দেন সুরেশ মিতেই। ম্যাচের ৬৭ মিনিটে ৪-২ গোলে এগিয়ে যায় ব্রুজোর দল। লাল-হলুয়দের হয়ে চতুর্থ গোল ডেভিডের। ম্যাচের সেরাও তিনি। বাঁ দিক থেকে বিষ্ণুর ক্রসে প্রায় মাটিতে শুয়ে পড়ে হেডে গোল করেন ডেভিড লালানসাঙ্গা। দ্বিতীয়ার্ধে পাঞ্জাবের ডিফেন্সকে নাস্তানাবুদ করে ছাড়ে লাল-হ্লুদ। এরপর আক্রমণে গেলেও গোলের ব্যবধান আর বাড়াতে পারেনি লাল-হলুদ। এই জয়ের ফলে ১১ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১০। জিতলেও ১১ নম্বরে থাকল ইস্টবেঙ্গল।

আরও পড়ুন- গাব্বায় ব্যাট হাতে সফল রাহুল, ম্যাচ শেষে ফাঁস করলেন সাফল্যের রহস্য