ভারতের অন্যতম পরিচ্ছন্ন শহর হিসাবে পরিচিত মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। এবার সেই শহরকে ভিক্ষুক মুক্ত করতে তৎপর ইন্দোরের প্রশাসন। নতুন বছরের জানুয়ারি মাস থেকেই এই নিয়ম চালু করতে চলেছে জেলা প্রশাসন। সাফ জানানো হয়েছে, যারা ভিক্ষুকদের অর্থ সাহায্য করবেন, তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে বলে। ভিক্ষা দিতে গিয়ে ধরা পড়লে থানায় অভিযোগ দায়ের হবে। জেলাশাসক আশিস সিং জানিয়েছেন, প্রশাসন ইতিমধ্যেই ইন্দোরে ভিক্ষা নিষিদ্ধ করার নির্দেশ জারি করেছে। ভিক্ষার বিরুদ্ধে সচেতনতামূলক প্রচার ডিসেম্বর মাস জুড়ে চালু থাকবে। ১ জানুয়ারি থেকে নতুন নিয়ম চালু করা হবে।শহরের সমস্ত বাসিন্দাদের ভিক্ষা দেওয়া থেকে বিরত থাকার কথা বলা হয়েছে।
শহরের বিভিন্ন রাস্তা ভিক্ষুক মুক্ত করার জন্য সব রকম চেষ্টা চালাচ্ছে জেলা প্রশাসন।জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় সরকারের একটি পাইলট প্রকল্পের অধীনে ভিক্ষুকদের পুনর্বাসনের জন্য ব্যবস্থা করবে প্রশাসন। দেশের মোট ১০টি শহরে এই প্রকল্পের কাজ চলছে।সেই শহরগুলি হল দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, ইন্দোর, লখনউ, মুম্বই, নাগপুর, পটনা এবং আমদাবাদ।
প্রকল্প আধিকারিক দীনেশ মিশ্র বলেছেন, সমীক্ষা চালাতে গিয়ে তাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে গিয়েছে। কারণ, তারা দেখেছেন কোনও ভিক্ষুকের রয়েছে বড় পাকা বাড়ি, কারও সন্তান ভাল চাকরি করেন। এক জন ভিক্ষুকের থেকে প্রায় ৩০ হাজার টাকা পাওয়া গিয়েছে। কেউ আবার ভিক্ষার টাকা থেকে সুদের কারবার চালান। রাজস্থান থেকে এক দল ভিক্ষুক এই শহরে ভিক্ষা করতে এসেছেন বলে সমীক্ষায় দেকা গিয়েছে। মধ্যপ্রদেশের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নারায়ণ সিং কুশওয়াহা জানিয়েছেন, ইন্দোরেরই একটি সংস্থা সরকারের এই প্রচেষ্টায় সাহায্য করতে এগিয়ে এসেছে। সংগঠনটি ভিক্ষুকদের ছয় মাসের জন্য আশ্রয় দেবে এবং তাদের কাজ খুঁজে দেওয়ার চেষ্টা করবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–