আচমকাই কানাডার অর্থমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অর্থমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (Chrystia Freeland)। আগে থেকেই অর্থমন্ত্রী পদে নতুন কাউকে নির্বাচন করে রেখেছিলেন ট্রুডো (Justin Trudeau), এমনই আশঙ্কায় নিজে থেকেই সরে দাঁড়ালেন ফ্রিল্যান্ড। সেইসঙ্গে কাঠগড়ায় রাখলেন সাম্প্রতিক আমেরিকার পালাবদলের পরিস্থিতিতে কানাডার (Canada) অর্থনীতি নিয়ে ট্রুডোর ভুল সিদ্ধান্তকে। এমন একটি সময়ে এই সিদ্ধান্ত এলো যখন প্রবল আর্থিক ক্ষতির মধ্যে দিয়ে চলছে ট্রুডোর দেশ।
কানাডায় নির্বাচনের আগে ফের একবার ধাক্কা জাস্টিন ট্রুডো সরকারের। অর্থমন্ত্রী (finance minister) পদ থেকে সরে দাঁড়ালেন ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড (Chrystia Freeland)। তাঁর দাবি ট্রুডোই তাঁকে অর্থমন্ত্রীর পদ ছাড়তে বলেছিলেন অন্য পদের প্রলোভন দেখিয়ে। কিন্তু তিনি মন্ত্রিসভা থেকেই সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নেন। ফ্রিল্যান্ডের পদত্যাগের পরই মন্ত্রিসভার গণনিরাপত্তার দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ডমিনিক লেব্ল্যাঙ্ককে অর্থমন্ত্রী পদে বসালেন ট্রুডো। এমন একটা সময় কানাডায় (Canada) অর্থমন্ত্রী পদে পরিবর্তন এলো যখন গোটা দেশ ৬২ বিলিয়ন ডলার ক্ষতিতে (deficit) চলছে।
তবে এই পরিস্থিতির জন্য ফ্রিল্যান্ড নিজের চিঠিতে সম্পূর্ণভাবে ট্রুডোকেই দায়ী করেছেন। তিনি জানিয়েছেন গত কয়েক সপ্তাহ ধরে ট্রুডোর সঙ্গে মতের মিল হচ্ছিল না অর্থমন্ত্রী ফ্রিল্যান্ডের। যেখানে বর্তমান কঠিন অর্থনৈতিক পরিস্থিতিতে একসঙ্গে কাজ করার কথা সেখানে ট্রুডো সমর্থন জানাচ্ছিলেন না ফ্রিল্যান্ডকে। সেই সঙ্গে যুক্ত হয়েছে আমেরিকার রাষ্ট্রপতি পদে নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) ২৫ শতাংশ শুল্ক (tariff) চাপানোর হুমকি।
ফ্রিল্যান্ডের দাবি আমেরিকার শাসানি সত্ত্বেও কানাডাকে নিজের অর্থনীতির উপর নির্ভর করে এই হুমকির মোকাবিলার প্রস্তাব তিনি দিয়েছিলেন। যা মানতে চাননি প্রধানমন্ত্রী ট্রুডো। উপরন্তু আমেরিকার চাপিয়ে দেওয়া অর্থনীতি তিনি গ্রহণ করতে চেয়েছিলেন। যার ফলে অর্থনীতিতে আমেরিকায় শেষ কথা এই দাবি প্রতিষ্ঠিত হত, অভিমত কানাডার বিদায়ী অর্থমন্ত্রীর।
–
–
–
–
–
–
–