বাংলাদেশে আটকে থাকা কাকদ্বীপের ৯৫ জন মৎস্যজীবী আগামী দু-তিন দিনের মধ্যেই ফিরছেন, মঙ্গলবার নবান্নে (Nabanna) গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি বৈঠকে জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী (CM)। জলসীমা লঙ্ঘন করার অপরাধে সম্প্রতি ভারতীয় মৎস্যজীবীদের (Indian Fishermen) গ্রেফতার করে বাংলাদেশের উপকূলরক্ষী বাহিনী। উদ্বেগে ছিলেন তাঁদের পরিবার। এবার এনাদের দেশে ফেরাতে এগিয়ে এল রাজ্য সরকার (Government of West Bengal)। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)এই মৎস্যজীবীদের ফেরানোর আশ্বাস দিয়েছেন। নবান্নে তিনি বলেন,’আগে মৎস্যজীবীরা হারিয়ে যেতেন। পথ খুঁজে পেতেন না। আমরা ভাবতাম যে কোথায় গেল, কী হল। বাড়ির লোকজন ভাবতেন যে মৃত্যু হয়েছে। কিন্তু আমরা এখন একটা ট্র্যাকিং সিস্টেম করে দিয়েছি। তাতে আমরা ধরতে পারি যে তাঁরা কোথায় আছেন। আমাদের যে ৯৫ জন বাংলাদেশে আছেন, সেটা আমরা জানি।’এরপরই মমতা জানান, আটক মৎস্যজীবীদের পরিবারকে জানিয়ে দিতে যে কাল-পরশুর মধ্যে তাঁরা ফিরে আসবেন। এদিন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে (Nandini Chakraborty)তিনি নির্দেশ দেন, যাতে বাংলাদেশের যাঁরা আটকে আছে, তাঁদের ছেড়ে দিতে হবে। আর ভারতীয়রা যাঁরা আটকে আছেন, তাঁদেরও ছাড়িয়ে নিতে হবে।
ছাত্র আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে উত্তাল বাংলাদেশ। এই মুহূর্তে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের পরও যেভাবে নীরবতা বজায় রেখেছে তাতে বিশ্বজুড়ে হিন্দু ধর্মাবলম্বী মানুষের প্রতিবাদ বাড়ছে। কিন্তু তাতেও বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণ কমছে না। এই অবস্থায় গ্রেফতার হওয়া মৎস্যজীবীদের পরিবারের দুশ্চিন্তা আরও বেড়েছে। তাঁরা এই বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। মুখ্যমন্ত্রীর দফতর থেকে কাকদ্বীপের বিধায়ক মন্টুরাম পাখিরাকে ফোন করে বাংলাদেশে গ্রেফতার হওয়া মৎস্যজীবীদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে খোঁজখবর নেওয়া হয়। বিষয়টি জানতে পেরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আটক মৎস্যজীবীদের ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী হন। এদিন নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট নির্দেশ দেন যে এখানে আটক বাংলাদেশিদের ছেড়ে দেওয়া হবে। এবং আগামী কাল বা পরশুর মধ্যে এখানকার মৎস্যজীবীদেরও ফিরিয়ে আনা হবে।
–
–
–
–
–
–
–
–
–