কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্কের নির্বাচনে সবুজ ঝড়। ধরাশায়ী বিজেপি। বিপুল জয় তৃণমূলের।অধিকারীর গুন্ডাবাহিনীকে উড়িয়ে মানুষের ভোটদান। আর তাতেই কুপোকাত বিজেপি-সহ বিরোধীরা। সর্বশেষ খবর, ঘোষিত ১০৩টি আসনের মধ্যে ১০১টি আসন পেয়ে বোর্ড গঠন করছে তৃণমূল। ১০৩টি আসনের মধ্যে বিজেপির জুটেছে মাত্র ২টি আসন। সমবায়ের মোট আসন সংখ্যা ১০৮।

কন্টাই কো অপারেটিভ ব্যাংকের নির্বাচনে তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীদের ব্যাপক জয়ে তৃণমূলের সম্পাদক ও সমবায়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত রাজ্যের নেতা আশিস চক্রবর্তী জানান, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী বিভিন্ন কাজের নিরিখে গ্রামের মানুষের ব্যাপক সমর্থনে সমবায় ব্যাঙ্কের এই জয়। আগামী বিধান সভা নির্বাচনে এই জয় পূর্ব মেদিনীপুরে আমাদের ব্যাপক সাফল্য আনবে এবং তিনি এই জয়ের জন্য ওই জেলার সর্বস্তরের তৃণমূল নেতৃত্ব, সাধারণ মানুষ ও সমবায়ীদের অভিনন্দন জানান।তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী এনেও বিজেপি কিছু করতে পারেনি। গো হারান হেরেছে। এমনকী, ডিরেক্টরদের সবকটি আসনে তৃণমূল জয়ী হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী এই জয়ের জন্য এই নির্বাচনের সঙ্গে যুক্ত সবাইকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এই জয়ের ফলে আগামী দিনে কাঁথি সমবায় ব্যাঙ্ক আরও ভাল কাজ করবে বলে তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন।

এদিন গণনা শুরু হতেই এগোতে শুরু করেন তৃণমূল প্রার্থীরা। এর আগে রবিবার সকাল থেকে শুরু হয় ভোটগ্রহণ। এই নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে এলাকা জুড়ে চলল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের গুন্ডামি। ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে দাপিয়ে বেড়াল তারা। নীরব দর্শকের ভূমিকায় ছিল কেন্দ্রীয় বাহিনী। কোথাও কেড়ে নেওয়া হল ভোটারদের স্লিপ, আবার কোথাও বাধা দেওয়া হল ভোটারদের। বিজেপির গুন্ডামি উপেক্ষা করে ভোট দিলেন সদস্যরা। তবুও তৃণমূলের জয় রোখা গেল না। সমবায় ব্যাঙ্কের মোট ১০৮টি আসনে এদিন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। বিকেল তিনটে থেকে শুরু হয় গণনা। গণনা শুরু হতেই সবুজ ঝড়ের ইঙ্গিত মিলেছিল। হেঁড়িয়া, হলদিয়া, নন্দকুমার, বেলদার সব আসনেই জয়ী হয়েছে তৃণমূল।
এদিন সকাল ন’টায় শুরু হয় নির্বাচন পর্ব। শুরু হতেই কোলাঘাটের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে গুন্ডামি শুরু করে বিজেপি। ভোটারদের ভয় দেখানোর অভিযোগ ওঠে। বিজেপির রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ভোট দেন মানুষ। মহিষাদলের ভোটগ্রহণ কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে অবৈধ ভাবে জমায়েত করে বিজেপি কর্মী- সমর্থকরা। জমায়েত সরাতে গেলে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। পরে পুলিশ সরিয়ে দেয় তাদের। রামনগরে ভোটকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা তৈরি হয়। তৃণমূল সমর্থকদের ওপর হামলা হয়।
–
–
–
–
–
–
–





























































































































