দলীয় তদন্তে ক্লিনচিট! তন্ময়ের সাসপেশন প্রত্যাহার করল CPIM

0
2

ছিল গুরুতর অভিযোগ। কিন্তু তদন্ত করে কোনও দোষ পায়নি। ফলে সাসপেন্ডেড কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্যকে (Tanmaoy Bhattacharya) ক্লিনচিট দিল আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। সাসপেনশন প্রত্যাহার করল CPIM। শনিবার উত্তর ২৪ পরগনার জেলা গ্রুপে এই খবর জানিয়েছেন সিপিআইএমের জেলা সম্পাদক মৃণাল চক্রবর্তী। কিন্তু এবিষয়ে কোনও প্রেস বিবৃতি দেয়নি আলিমুদ্দিন স্ট্রিট। বিরোধীদের মতে, অতীতেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দলীয় নেতাদের কড়া শাস্তির পথে হাঁটতে পারেনি বামেরা।

এক মহিলা সাংবাদিক ফেসবুক লাইভ করে CPIM নেতা তন্ময় ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেন। সেদিনই তাঁকে সাসপেন্ড (Suspend) করে দল। গঠিত হয় তদন্ত কমিটি। বরানগর থানাতেও লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেকবারই থানায় হাজিরা দিতে হয় তন্ময়কে। দলের তরফের তদন্তেও তন্ময়কে তলব করা হয়। কিন্তু যিনি অভিযোগ করেছিলেন, সেই মহিলা সাংবাদিকের বয়ান আলিমুদ্দিন নথিভুক্ত করেছে বলে জানা যায়নি। তদন্ত শেষে তন্ময় ভট্টাচার্যকে ‘ক্লিনচিট’ দিল সিপিএম।

দলের জেলা হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে সিপিএম জেলা সম্পাদক মৃণাল লেখেন, “গতকাল রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম আমাদের জানিয়েছেন, আমাদের জেলা সম্পাদক মণ্ডলির সদস্য কমরেড তন্ময় ভট্টাচার্যকে তদন্ত সাপেক্ষে যে সাসপেন্ড করা হয়েছিল তা প্রত্যাহার করা হয়েছে। অর্থাৎ এখন থেকে তন্ময় ভট্টাচার্য পার্টির স্বাভাবিক কাজকর্মে অংশগ্রহণ করতে পারবেন।“

এটা জানার পরে তন্ময়ের মন্তব্য “আগেই বলেছিলাম, এটা পরিকল্পিত কুৎসা। তবে এটা আমার আক্ষেপ যে ঘটনাটা এমন সময় ঘটল যখন আমার পার্টির একাধিক সম্মেলন চলছে। এমনকী, আমার দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকার সম্মেলনও যোগ দিতে পারিনি।” একই সঙ্গে তন্ময় জানান, শুক্রবার দলের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম তাঁকে আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের অফিসে ডেকে পাঠিয়েছিলেন। তবে, সাসপেনশন তোলার বিষয়ে কথা হয়নি। সব বিষয়ে সাংবাদিক বৈঠক বা প্রেস বিবৃতি দেওয়া সিপিএম কেন তন্ময়ের সাসপেনশনের পরে সেটা করল না- তা নিয়ে দলের মধ্যেই প্রশ্ন উঠছে।