রাজ্যসভার আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী, ‘ইতিহাস’ স্মরণ করালেন ঋতব্রত

0
2

প্রাক্তন তৃণমূল সাংসদ জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় পেলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় (Ritabrata Banerjee)। রাজ্যসভা নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ছিল শুক্রবার। কিন্তু একটি মাত্র মনোনয়ন জমা পড়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থীকে জয়ী বলে ঘোষণা করা হয়। জয়ের পরে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে ঋণস্বীকার করেন তিনি। সেই সঙ্গে ধন্যবাদ জানান সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)।

আর জি করকাণ্ডের প্রেক্ষিতে রাজ্যসভায় (Rajyasabha) তৃণমূলের সাংসদ পদ ছাড়েন জহর সরকার। এরপর ৭ ডিসেম্বর জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া আসনে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে তৃণমূল। ১৩ ডিসেম্বর শুক্রবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋতব্রতকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়। ২০১৪-য় ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Ritabrata Banerjee) রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম (CPIM)। কিন্তু দলে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে ২০১৭-য় তাঁকে সিপিএম থেকে বহিষ্কার করা হয়। দল বিতাড়িত করলেও ২০২০ পর্যন্ত সাংসদ ছিলেন ঋতব্রত। এরপর তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন।

দ্বিতীয়বার রাজ্যসভার (Rajyasabha) সাংসদ হয়ে ঋতব্রতর (Ritabrata Banerjee) অভিব্যক্তি, “ইতিহাস কখনই বাস্তবে বিদায় জানায় না। ইতিহাস বলে আবার দেখা হবে।”

আইএনটিটিইউসি-র (INTTUC) রাজ্য সভাপতির কর্মদক্ষতা ও সাংগঠনিক ক্ষমতার স্বীকৃতিতে তৃণমূল তাঁকেই রাজ্যসভার আসনের যোগ্য নির্বাচন করে। শুক্রবার সেই আসনে তাঁর স্থান পাকা হওয়ার পরে ঋতব্রত ধন্যবাদ জানিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লেখেন, “আমাকে এই সুযোগ দেওয়ার জন্য শীর্ষনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) কাছে আমি চির ঋণী। ধন্যবাদ সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee)। আমি সচেতনভাবে আমার সর্বোচ্চ দেওয়ার প্রচেষ্টা করব।”