দলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে সদস্যে সংগ্রহে নামতে হবে বিধায়কদেরও: বনসলের ধমকের পরে নির্দেশ শুভেন্দুর

0
1

সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচিতে ডাহা ফেল বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে প্রবল ভর্ৎসনা শুনতে হয়েছে বাংলার পদ্ম নেতা-নেত্রীদের। বঙ্গ বিজেপির (BJP) কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের কাছে ধমকের পরে বুধবার দলীয় বিধায়কদের নিয়ে বৈঠক করলেন বিজেপি নেতা তথা বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Subhendu Adhikari)। দলের সঙ্গে সমন্বয় রেখে কাজ করার নির্দেশ দেন তিনি।

লক্ষ্য ছিল ১ কোটি সদস্য সংগ্রহ। কিন্তু সূত্রের খবর, তার ধারে কাছে পৌঁছতে পারেনি রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। ব্যর্থ হয়েছেন বিজেপির বিধায়করাও। এই নিয়ে বনসলের কাছে ভর্ৎসিত হয়েছিলেন তাঁরা। চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন বঙ্গ বিজেপির কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক। এর পরেই এদিন বিজেপির রাজ্যসদর দফতরে রাজ্য সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী থেকে সহকারী সংগঠন সম্পাদক সতীশ ধনদ- সবাইকে আজ থেকেই সদস্যষ সংগ্রহের কাজে নামার নির্দেশ দিয়েছেন শুভেন্দু (Subhendu Adhikari)।

সূত্রের খবর, দলের সঙ্গে বিজেপির পরিষদীয় দলের সমন্বয়ের অভাব দীর্ঘদিন থেকেই প্রকাশ্যে এসেছে। জেলা নেতৃত্বের সঙ্গে এলাকার বিধায়কদের মধ্যে তালমিলের অভাব রয়েছে বলে অভিযোগ। বৈঠকে সেই অভিযোগ জানান বিধায়করা।

আর দলের তরফে অভিযোগ, এলাকায় সংগঠনের কাজে সময় দেন না বিধায়করা। নিষ্ক্রিয়তা ঝেড়ে ফেলে এখনি সদস্যব সংগ্রহের কাজে বিধায়কদের নামতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নিজেদের বিধানসভা এলাকায় দলের সঙ্গে সমন্বয় বাড়ানো, প্রয়োজনে জেলা ও মণ্ডল সভাপতিদের সঙ্গে বৈঠক করার নির্দেশ দিয়েছে দল। বিজেপি সূত্রে খবর, সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে সরাসরি কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক সুনীল বনসলের (Sunil Bansal) সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছেন বিধায়করাও।

সম্প্রতি বৈঠকে সংগঠনের কাজ ও সদস্যব সংগ্রহে ব্যের্থতার জন্যা দলের বিধায়কদের কাঠগড়ায় তুলেছিলেন বনসল। একইসঙ্গে সদস্য্ সংগ্রহের পারফরম্যাতন্সে সাংসদদের ভূমিকা নিয়েও চরম অসন্তোষ প্রকাশ করে একাধিক সাংসদকে কার্যত ভর্ৎসনা করেছেন তিনি। বিধায়কদের মাঠে নামাতে শুভেন্দু অধিকারীর উপর ভরসা রেখেছিলেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তখনই শুভেন্দুর নেতৃত্বে বঙ্গ বিজেপির বিধায়কদের নিয়ে আলাদা করে বৈঠকের সিদ্ধান্ত হয়। সেই মতো এদিনে বৈঠকে ছিলেন, শঙ্কর ঘোষ, অগ্নিমিত্রা পাল, বঙ্কিম ঘোষ, বিশাল লামা, বিশ্বনাথ কারক-সহ প্রায় সব বিজেপি বিধায়করাই। বনসলের সঙ্গে বিধায়কদের বৈঠকের সম্ভাবনা ডিসেম্বরের শেষের দিকে। তার আগে অবশ্যস বনসলের সঙ্গে বসবেন শুভেন্দু।

বঙ্গ বিজেপির জন্য ইতিমধ্যেই সদস্য সংগ্রহের সময় বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর করা হয়েছে। সার্বিক ভাবে বাংলায় বিজেপির সদস্য সংগ্রহে ক্ষুব্ধ কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। আবার সদস্যি সংগ্রহ যা হচ্ছে তা নিয়েও দলের বিভিন্ন জেলার মধ্যে লড়াই শুরু হয়েছে। প্রথম হওয়ার দৌড়ে ছুটছে একাধিক জেলা। সব মিলিয়ে এখন দিল্লির কাছে পয়েন্ট বাড়াতে দলকে একসূত্রে বাধার কঠিন কাজে নেমেছেন শুভেন্দু।