বেঙ্গালুরুর টেকি আত্মহত্যা: কেন্দ্রের কাঠগড়ায় যোগী রাজ্যের বিচার ব্যবস্থা!

0
3

২৪ পাতার সুইসাইড নোট (suicide note) আর দেড় ঘন্টার ভিডিও রেকর্ড করে বেঙ্গালুরুতে (Bengaluru) যুবকের আত্মহত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্য গোটা দেশে। মৃত যুবক বারবার উত্তরপ্রদেশের আদালতে বিচার না পাওয়া ও হয়রানির অভিযোগ তুলেছেন। একই অভিযোগ তার পরিবারেরও। এই ঘটনার পর কেন্দ্রের আইন মন্ত্রকের (Ministry of Law and Justice) তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করে দাবি করা হয়, ফ্যামিলি কোর্টগুলির তাদের বিচার প্রক্রিয়া সাধারণ কোর্টের মতো পরিচালনা করা উচিত নয়। সেখানে আরো দরদী এবং সহানুভূতি থাকা প্রয়োজন। মূলত উত্তরপ্রদেশের কোর্টে একের পর এক মামলায় জর্জরিত হয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় বেঙ্গালুরুর তরুণ।

সোমবার ভোরে বেঙ্গালুরুর ডেলফিনিয়াম রেসিডেন্সির মঞ্জুনাথ লেআউটে এক যুবকের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। সেই সঙ্গে ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুইসাইড নোট ও তার রেকর্ড করা ভিডিও। ঘরে লেখা ছিল ‘বিচার এখনো অধরা'(Justice is due)। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে। বেঙ্গালুরুর বহুজাতিক সংস্থার ম্যানেজার পদে কর্মরত যুবকের নাম অতুল সুভাষ।

অতুলের সুইসাইড নোটে (suicide note) উল্লেখ করা হয় তার স্ত্রী ও তার পরিবার বিবাহ বিচ্ছেদ সংক্রান্ত মামলায় তাকে জর্জরিত করে ফেলেছে। একের পর এক নটি মামলা তার বিরুদ্ধে করেছে স্ত্রী ও তার পরিবার। এমনকি তাদের চার বছরের সন্তানকেও তার থেকে দূরে রাখা হয়েছে। বিবাহ বিচ্ছেদের খোরপোষ বাবদ মাসিক দু লক্ষ টাকা তার কাছে দাবী করা হয়। আর এই মামলাগুলি লড়ার জন্য অন্তত ৪০ বার তাকে বেঙ্গালুরু থেকে উত্তরপ্রদেশ যাতায়াত করতে হয়। এই হয়রানি আরো বেশি দিন গড়িয়ে তাকে, তার পরিবারকে ও আরো কিছু নির্দোষ মানুষকে যাতে কষ্ট না দেয় তাই সে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।

বিচার ব্যবস্থার উপর অতুলের অভিযোগ ছিল একের পর এক মামলায় জড়িয়ে পড়া ও তাঁর জেরে হয়রান হওয়ার। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি একজন করদাতার পয়সায় চলা পুলিশ প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থায়ই তাঁর কষ্টার্জিত অর্থে তাঁরই বিরুদ্ধে মামলা চালিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছে উত্তর প্রদেশে। আত্মহত্যার ঘটনার পর অতুলের ভাই তাঁর স্ত্রী ও তাঁদের পরিবারের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করে। ঘটনার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। এই ঘটনায় হৈচৈ শুরু হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রক। মন্ত্রকের তরফে একটি বার্তায় বলা হয় ফ্যামিলি কোড গুলির বিচার ব্যবস্থা নিয়ে আরো দরদী ও সংবেদনশীল হওয়া প্রয়োজন।