বাংলাদেশের সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmay Das) জামিনের মামলা এগিয়ে নিয়ে আসার আবেদন শুনতেই চাইল না চট্টগ্রাম আদালত। কখনো হট্টগোল, কখনো আইনজীবীকে নিয়ে প্রশ্ন তুলে এগিয়ে আনতে দেওয়া হল না চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন মামলা। অন্যদিকে ভারত বিরোধীতায় অনড় বিএনপি (BNP) ঢাকা থেকে ভারতের আগরতলার (Agartala) সীমান্ত পর্যন্ত লংমার্চ করে শক্তি প্রদর্শন করে প্রমাণ করে দেয় বাংলাদেশ আদতে ভারত বিরোধিতাতেই অনড়।
আইনজীবীদের উপর পরিকল্পনামাফিক হামলা চালিয়ে সন্ন্যাসী চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের (Chinmay Das) জামিনের আবেদনের মামলার শুনানি হতেই দেয়নি বাংলাদেশের মৌলবাদীরা। সেই মামলা পিছিয়ে গিয়েছে জানুয়ারিতে। এবার সেই জামিন মামলাকে এগিয়ে আনার জন্য আবেদন করেন চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের আইনজীবী। বুধবার সেই মামলায় প্রথমার্ধে মৌলবাদী ও বিএনপি সমর্থক আইনজীবীদের বিরোধিতায় শুনানি হতে পারেনি। দ্বিতীয়ার্ধে শুনানি শুরু হলে আইনজীবীকে নিয়ে আপত্তি জানান বিচারক। বাংলাদেশের সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court of Bangladesh) আইনজীবীকে বিচারক অনুমতি দেননি মামলা তোলায়, ওকালতনামায় তাঁর নাম না থাকায়। ফলে জানুয়ারি পর্যন্তই জেলে থাকতে হচ্ছে চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে।
সোমবার দু’দেশের বিদেশ সচিব (foreign secretary) পর্যায়ের বৈঠক এবং অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান মহম্মদ ইউনূসের (Mohammed Yunus) সঙ্গে ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রির (Vikram Misri) বৈঠকের পরে দু’দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক করতে চাওয়ার দাবি জানায় বাংলাদেশ। যদিও বাস্তবটা বুধবারে একেবারেই উল্টো দেখা যায়। ত্রিপুরার আগরতলায় (Agartala) বাংলাদেশের ডেপুটি হাই কমিশনার দপ্তরে হামলার ঘটনায় ভারত সরকার পদক্ষেপ নেওয়ার পরেও সেই ইস্যুকেই জিইয়ে রাখতে চাইছে বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপি (BNP)।
ঢাকা থেকে আগরতলার সীমান্তে আখাউড়া স্থলবন্দর পর্যন্ত লংমার্চ করে বিএনপির ছাত্র, যুব ও স্বেচ্ছাসেবকদের সংগঠন। এই লংমার্চ শুরুর আগে ঢাকায় বিএনপি যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভি অন্যদিনের মতোই ভারতবিরোধী হুংকার দেন। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু নিপীড়ন নিয়ে বিদেশ সচিব বিক্রম মিস্ত্রী কড়া ভাষায় প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তার সফরে প্রশাসনিকভাবে সেই বক্তব্যের পরে অন্তর্বর্তী সরকার সংখ্যালঘুদের উপর হামলায় পদক্ষেপ নিয়ে তথ্য পেশ করেন কিন্তু ভারত বিরোধীতা থেকে যায় বাংলাদেশ কোনভাবেই সরে আসছে না বিএনপির মিছিল তার প্রমাণ।