২৫০ বিস্ফোরণ! সিরিয়ার অস্ত্রভাণ্ডার রক্ষার লড়াই চালাচ্ছে ইজরায়েল

0
3

এগারো দিনের হামলায় ক্ষমতা দখল। এরপরই নতুন অধ্যায়ের পথে সিরিয়া (Syria)। রাষ্ট্রপতি বাসারের দেশ ছাড়ার খবর চাউর হওয়ার আগে বিশ্বের নিউক্লিয়ার শক্তিধর দেশগুলি আশঙ্কা করেছিল আত্মরক্ষার শেষ অস্ত্র হিসাবে রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের মতো পথে যেতে পারেন বাসার আল-আসাদ (Bashar al-Assad)। তার মধ্যে পারমাণবিক অস্ত্র প্রয়োগের সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া হয়নি। বাসার সাম্রাজ্যের পতনের পরই সক্রিয় ইজরায়েল। মুহুর্মুহু মিসাইলে সোমবারের পরে মঙ্গলবারও কেঁপে উঠল রাজধানী দামাস্কাস (Damascus)। ইজরায়েলি (Israel) হামলায় ধ্বংস সিরিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের (Defense Ministry) গবেষণাগার।

হায়াত তাহরির আল-সাম (HTS) গোষ্ঠী দামাস্কাসের দখল নেওয়ার পরই রাসায়নিক অস্ত্র (chemical weapons) ভাণ্ডারের জন্য আশঙ্কা প্রকাশ করেছিল রাষ্ট্রসঙ্ঘ (United Nations)। ঘরোয়া লড়াইতে ২০১৪ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে ১০৬ বার রাসায়নিক অস্ত্র প্রয়োগের ইতিহাস রয়েছে সিরিয়ার। তবে সব ক্ষেত্রেই অভিযোগের তিরে বাসার গোষ্ঠী। তবে দখলদারদের হাতে যদি সেই রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার পড়ে তবে তা বিশ্বের পক্ষে খারাপ খবর বয়ে আনতে পারে। ইতিমধ্যেই এইচটিএসের (HTS) পিছনে যে আল কায়দার মদত রয়েছে তা স্পষ্ট। সেক্ষেত্রে তাদের হাতে সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার পড়লে তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ হবে রাষ্ট্রসঙ্ঘের কাছে।

রাষ্ট্রপতি বাসার দেশ ছাড়ার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই সিরিয়া (Syria) রওনা দেয় ইজরায়েলের যুদ্ধজাহাজ। সোমবার রাত থেকেই রাজধানী দামাস্কাস (Damascus) সংলগ্ন এলাকায় মিসাইল নিক্ষেপ করতে থাকে ইজরায়েলি সেনা। কার্যত দামাস্কাসের দখল যে ইজরায়েল নিয়ে ফেলেছে তা স্পষ্ট করতে চায় তারা। মূলত সিরিয়ার রাসায়নিক অস্ত্রভাণ্ডার লক্ষ্য করে মিসাইল হামলা চালানো হয়। ইজরায়েলের দাবি, অস্ত্রভাণ্ডার যাতে বিদ্রোহীদের হাতে না পড়ে যায় তার জন্যই এই হামলা।

ইতিমধ্যেই সিরিয়া জুড়ে আধিপত্য কায়েম করতে শুরু করে দিয়েছে। সায়দনায়া জেলে হানা দিয়ে সব বন্দিদের মুক্ত করা হয়েছে। সমস্ত গোপণ কুঠুরি খুলে ভয়ঙ্কর সাজাপ্রাপ্ত অপরাধীদের (prisoners) মুক্ত করা হয়। অন্যদিকে দেশের ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করা হবে বলেও জানায় বিদ্রোহীরা। মহম্মদ আল-জালালিকে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দিলেও তাকে হত্যার পথে যায়নি এইচটিএস। ইতিমধ্যেই বাসারপন্থী ও তার পরিবারের সদস্যদের নির্মম হত্যার ভিডিও ভাইরাল (ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি বিশ্ববাংলা সংবাদ) হয়েছে। আল-জালালির সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষেই মহম্মদ আল-বসিরকে (Mohammed Al-Basir) প্রধানমন্ত্রীর পদে বসাতে চলেছে বিক্ষুব্ধ গোষ্ঠী।