আমেরিকায় ঘুষ দেওয়ায় অভিযুক্ত গৌতম আদানি (Gautam Adani) ও তার সংস্থা। এই অভিযোগ নিয়ে আমেরিকার পত্রিকায় খবর প্রকাশ হতেই গায়ে যেন ফোস্কা পড়ে গেল বিজেপি সরকারের। আদানির দুর্নীতিতে মোদি সরকারের ইন্ধনের অভিযোগ তুলতেই সরব বিজেপি (BJP)। সরাসরি মার্কিন প্রশাসনের বিরুদ্ধে সুর চড়াতেও দ্বিধা করেনি বিজেপি। এই ঘটনায় এবার মার্কিন দূতাবাসের (US Embassy) পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া দেওয়া হল। দেশের শাসকদলের এই ধরনের মন্তব্য ‘হতাশাজনক’ (disappointing) দাবি দূতাবাসের মুখপাত্রের।
আদানির ব্যবসা সুরক্ষিত রাখতে সেবিকে (SEBI) সামনে রাখতে পিছপা হয়নি কেন্দ্রের মোদি সরকার। চাপের মুখে চেষ্টা করা হয়েছে সেবি প্রধান মাধবী বুচের (Madhabi Puri Buch) মুখ বন্ধ করারও। এবার পশ্চাৎদ্বার দিয়ে আমেরিকায় ব্যবসা করতে চাওয়া আদানির (Adani) উপর তদন্ত শুরু করেছে মার্কিন প্রশাসন। সেই কাহিনী সংবাদ পত্রে প্রকাশ করতে গিয়ে একাধিক মার্কিন সংবাদপত্রে কেন্দ্রের মোদি সরকারের প্রসঙ্গ যুক্ত করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় সংস্থা সেবির সঙ্গে আদানির যোগ নিয়ে ওঠা অভিযোগ নিয়ে লেখা হয় মার্কিন সংবাদে।
বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরনের প্রতিবেদন নিয়ে কাঠগড়ায় তোলা হয় মার্কিন প্রশাসনকে। সোশ্য়াল মিডিয়া (social media) হ্যান্ডেলে মার্কিন প্রশাসনের মদতে খবর প্রকাশের অভিযোগ তোলা হয়। পাল্টা আমেরিকার দাবি, তাঁরা মুক্ত ও স্বাধীন সাংবাদিকতায় বিশ্বাস রাখেন। সংবাদপত্রে প্রকাশিত সংবাদ একান্তভাবে প্রকাশক ও সংস্থার নীতির উপর নির্ভর করে। সেখানে সরকারি নিয়ন্ত্রণ কোনওভাবে আমেরিকা রাখে না। ফলে বিজেপির পক্ষ থেকে আমেরিকার দিকে যে ইঙ্গিত করা হয়েছে তাতে প্রশ্নের মুখে ভারত-মার্কিন সম্পর্ক। মুখপাত্রের (spokes person) দাবি, দেশের শাসকদলের পক্ষ থেকে এই ধরনের মন্তব্য হতাশাজনক (disappointing)। সেই সঙ্গে উল্লেখ করা হয় স্বাধীন সংবাদ মাধ্যম একটি গণতন্ত্রের অন্যতম উপাদান। তাই আমেরিকা কখনই সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশনাকে নিয়ন্ত্রণ করে না।