তিন দিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর অবশেষে সন্দেশখালীর (Sandeshkhali) নিখোঁজ আদিবাসী যুবতীর সন্ধান মিলল। বাড়ি থেকে একটু দূরেই এক পুকুরে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যেভাবে ওই যুবতীর কোমরের সঙ্গে ইট বেঁধে দেওয়া হয়েছিল, তাতে প্রাথমিক অনুমান খুন করা হয়েছে। যদিও ধর্ষণ হয়েছে কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনায় রাজনৈতিক ফায়দা তোলায় মগ্ন বিজেপি। পুলিশ ঘটনার দ্রুত তদন্ত শুরু করা সত্ত্বেও বিজেপি নেতাদের প্ররোচনায় জাতীয় মহিলা কমিশনে অভিযোগ দায়ের করে পরিবার, দাবি তৃণমূলের।
বসিরহাটের (Basirhat) ন্যাজাট থানার কালীনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটিহারা এলাকার ঘোষপুরের বাসিন্দা ওই যুবতী উচ্চ মাধ্যমিক পড়ুয়া। বুধবার বাড়ি থেকে বেরিয়ে ছিলেন, তারপর থেকেই নিখোঁজ।শনিবার সকালে ঘটিহারা এলাকার একটি পুকুরে দেহ ভাসতে দেখা যায়। ন্যাজাট থানা থেকে পুলিশ কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেহ উদ্ধার করেন। পরিবারের লোকেরাই যুবতীকে শনাক্ত করেছেন। কী কারণে মৃত্যু তা তদন্ত করছে পুলিশ।
প্রাথমিকভাবে দেখা গিয়েছে, যে পুকুরে দেহ উদ্ধার হয়েছে তার পাশেই এক বিজেপি নেতার বাড়ি। এই ঘটনায় ওই বিজেপি নেতা কোনোভাবে যুক্ত কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ। অন্যদিকে লোকসভা নির্বাচনের পরে ছয় কেন্দ্রের উপনির্বাচনে পরাজিত হয়ে এই মৃত্যুর ঘটনাকে রাজনৈতিক রঙ দিতে চাইছে স্থানীয় বিজেপি, দাবি শাসকদলের। স্থানীয় বিধায়ক সুকুমার মাহাতো জানান, ঘটনায় বিজেপির কোন প্ররোচনা রয়েছে কিনা তদন্ত করে দেখা হবে। শোকস্তব্ধ পরিবারের পাশে রয়েছে শাসক দল।