অনেক বাধাবিপত্তি সত্ত্বেও তৃণমূল সরকার রাজ্যের মানুষকে ৯৪টি প্রকল্পের সুবিধা দিচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) নেতৃত্বে নারী ক্ষমতায়নের মাধ্যমে গোটা দেশকে পথ দেখাচ্ছে বাংলা। লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মতো প্রকল্পকে মডেল হিসেবে ব্যবহার করছে মধ্যপ্রদেশ (Madhyapradesh), মহারাষ্ট্রের (Maharashtra) মতো বিজেপি রাজ্যগুলি।
নিউজ এইট্টিন বাংলার অনুষ্ঠানে এই ধরনের বিভিন্ন জনকল্যাণমুখী প্রকল্প নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী জানালেন, গণতন্ত্রে জনগণের হয়ে কাজ করার সময় মনে রাখতে হয়, আমরা কেউই কেউকেটা নয়। আমি সারাজীবন মাঠে-ঘাটে রাজনীতি করতে গিয়ে মানুষের অনেক সমস্যা দেখে মনে রেখে দিয়েছিলাম। তার মধ্যে যতটুকু সম্ভব মানুষের জন্য করার চেষ্টা করেছি। অনেকেই ভোটের সময় অনেক কথা দেন, কিন্তু রাখতে পারেন না। আমি মানুষকে কথা দিলে, সেটা রাখার চেষ্টা করি। আমি মনে করি, কথা দিয়ে না রাখাটা অপরাধ।
মুখ্যমন্ত্রীর আরও সংযোজন, কোনও প্রকল্প করতে গেলে সরকারের আর্থিক পরিস্থিতিটাও দেখতে হবে। কারণ, কেন্দ্রের কাছে আমরা আমাদের প্রাপ্য ১ লক্ষ ৭১ হাজার বকেয়া (dues) টাকা পাইনি। সব কিছু সামলে আমাদের প্রকল্প আনতে হয়। সব ধর্মের মানুষের উৎসবের জন্য বরাদ্দ রেখে অনেক হিসেব করে চলতে হয়। যতটুকু পেরেছি, করেছি। এটা আমার কৃতিত্ব নয়, কৃতিত্ব জনগণের। আমাদের আর্থিক পরিস্থিতি ভাল হলে ও কেন্দ্রের (central government) কাছ থেকে আমাদের প্রাপ্য টাকা পেলে আরও কিছু করতে পারতাম। হয়তো এখনও অনেক কিছু ইচ্ছে রয়ে গিয়েছে, যা পূরণ হয়নি। কারণ, আমিও একজন সাধারণ মানুষ।
সম্প্রতি অর্থ কমিশনের (finance commission) সঙ্গে বৈঠকে রাজ্যের জন্য কেন্দ্রীয় বরাদ্দ ৪১ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই নিয়ে তিনি জানিয়েছেন, কেন্দ্রীয় প্রকল্পে নাম-রং সবটাই কেন্দ্র দেয়। এদিকে, সেই প্রকল্পের জন্য রাজ্যকেই ৪০-৫০ শতাংশ টাকা দিতে হয়। তাই সরকারি প্রকল্পগুলির নাম দেওয়ার ক্ষেত্রে কিংবা রাজ্য প্রয়োজনীয় অর্থ দিতে পারবে কি না, অথবা সেই প্রকল্প ওই রাজ্যের জন্য যথোপযোগী হবে কি না, সেসব নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত কেন্দ্রের। কারণ, বিভিন্ন রাজ্যের ভাষা বিভিন্ন। হিন্দি ভাষায় দেওয়া কোনও প্রকল্পের নাম বাংলার মানুষ কতটা উপযোগী হবে, সেটাও ভাবনার বিষয়। প্রকল্প মানুষকে জোর করে গেলানো যায় না।