গত মাসেই যোগীরাজ্যের হাসপাতালে ১০ নবজাতক আগুনে ঝলসে মারা গিয়েছিল। তারপর ফের যোগীরাজ্যের আর এক হাসপাতালে ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। লিফট (elevator) ভেঙে মৃত্যু হল এক প্রসূতি মায়ের (pregnant lady)। এই ঘটনা ফের একবার প্রমাণ করে দিল, ডাবল ইঞ্জিন সরকার মানেই ডাবল বিপর্যয়। শুক্রবার উত্তর প্রদেশের মিরাটের (Meerut) এক হাসপাতালে এই নির্মম ঘটনার পর তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এভাবেই নিশানা করা হল বিজেপিকে।
তৃণমূল কংগ্রেসের বার্তা, মানুষের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলতেই সবথেকে বেশি আনন্দ পায় বিজেপি পরিচালিত যোগী সরকার। গত মাসে ঝাঁসির মহারানি লক্ষ্মীবাই মেডিক্যাল কলেজে ১০ নবজাতক আগুনে পুড়ে মারা গিয়েছিল। এবার মিরাটের ক্যাপিটাল হাসপাতালে (Capital Hospital, Meerut) লিফট ভেঙে এক মা প্রাণ হারালেন। এগুলো দুর্ঘটনা নয়, এই মৃত্যুগুলো সরকারের অবহেলার কারণে হওয়া নাগরিক খুন।
অস্ত্রোপচারের পর বেডে দেওয়ার সময় লিফট ভেঙে মৃত্যু হয় প্রসূতি মায়ের। শুক্রবার সকালেই তিনি এক কন্যা সন্তানের জন্ম দেন। তারপর অপারেশন থিয়েটার থেকে সাধারণ ওয়ার্ডে স্থানান্তরের সময় ওই দুর্ঘটনা ঘটে। ওই মহিলাকে স্ট্রেচারে করে নীচে নামানোর সময় লিফটের বেল্ট ছিঁড়ে পড়ে যায়। এর ফলে মাথায় গুরুতর আঘাত পান ওই মহিলা। দ্রুত চিকিৎসা শুরু করেও লাভ হয়নি, মৃত্যু হয় মহিলার। জন্যেই মাতৃহারা হয় শিশুটি।
এই ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতালে। লিফটে আটকে পড়া কর্মীরা সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে থাকেন। লিফট খুলে তাঁদের বের করে আনা হয়। ক্ষুব্ধ আত্মীয়রা হাসপাতাল ভাঙচুর করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ পৌঁছায়। পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে গেলে, চিকিৎসক ও কর্মীরা হাসপাতাল ছেড়ে পালিয়ে যান। হাসপাতালের ১৫ জন রোগীকে অন্য হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। ক্যাপিটাল হাসপাতালটি সিল করে দেয় পুলিশ ও প্রশাসন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে দায়ের করা হয় মামলা।