বিচারে কোনও ঢিলেমি নয়: জয়নগর ধর্ষণ-খুনের রায়ে পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থাকে অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর

0
1

নারী নির্যাতনে কোনও রেয়াত নয়। বারবার রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনকে এই নির্দেশই দিয়ে এসেছে। রাজ্য পুলিশ সক্রিয়ভাবে সেই ন্যায় বিচার দিতে কতটা সক্ষম তার প্রমাণ রাখল বারুইপুর পুলিশ জেলার (Baruipur Police District) পুলিশ। ৬২ দিনে দোষীকে গ্রেফতার, তদন্ত ও চার্জশিট পেশের মধ্যে দিয়ে নাবালিকার পরিবারকে বিচার দিতে সাহায্য করল পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থা। শেষ পর্যন্ত ফাঁসির সাজা শুনিয়েছে পকসো আদালত (POCSO Court)। রায়দানের পরে পুলিশ ও বিচার ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্তদের অভিনন্দন জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।

এক্স হ্যান্ডেলে মুখ্যমন্ত্রী লিখেছেন, “২০২৪ সালের অক্টোবরের ৪ তারিখে জয়নগরে (Jaynagar) নাবালিকাকে নৃশংস ধর্ষণ ও হত্যার সঙ্গে জড়িত মামলার অভিযুক্তকে আজ বারুইপুরের পকসো আদালত (POCSO Court, Baruipur) ৬২ দিনের মধ্যে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে৷ মাত্র দু’মাসের মধ্যে এমন একটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত হওয়া এবং মৃত্যুদণ্ড দেওয়া রাষ্ট্রের ইতিহাসে নজিরবিহীন। এই অসামান্য কৃতিত্বের জন্য আমি রাজ্য পুলিশ (West Bengal Police) এবং প্রসিকিউশন প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত সকলকে অভিনন্দন জানাই। মহিলাদের বিরুদ্ধে অপরাধের প্রতি সরকারের শূন্য সহনশীলতা রয়েছে। এবং ন্যায়বিচার যাতে দ্রুত হয় তা নিশ্চিত করাই লক্ষ্য।”

জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মুস্তাকিন সর্দারকে ফাঁসির সাজা দিয়েছে আদালত৷ গতকাল অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। আজ ফাঁসির সাজা ঘোষণা করেন বারুইপুর ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক সুব্রত চট্টোপাধ্যায়৷ অভিযুক্তের ফাঁসির সাজা চেয়েই সওয়াল করেছিলেন বিশেষ সরকারি আইনজীবী৷

জয়নগরের ঘটনায় দোষীর ফাঁসির সাজা হতেই এক্স হ্যান্ডলে রাজ্য পুলিশের (West Bengal Police) তরফে একটি পোস্ট বলা হয়েছে, “জাস্টিস ফর জয়নগর! এই রায় নজিরবিহীন। নাবালিকাকে ধর্ষণ-খুনের মামলায় ঘটনার মাত্র ৬২ দিনের মধ্যে অভিযুক্তের ফাঁসির আদেশ, এর আগে পশ্চিমবঙ্গে কখনও ঘটেনি। এই মামলার তদন্তে আমাদের একটাই উদ্দেশ্য ছিল, যত দ্রুত সম্ভব নির্যাতিতা এবং তার পরিবারকে ন্যায়বিচার দেওয়া। মেয়েটি আর ফিরবে না। কিন্ত যে অভূতপূর্ব দ্রুততায় তাকে এবং তার পরিবারকে আমরা বিচার দিতে পেরেছি, দীর্ঘদিন বিচারহীন থাকতে হয়নি, এটুকুই আমাদের সান্ত্বনা, আমাদের প্রাপ্তি।”