বাংলাদেশ হয়ে কলকাতায় ঢুকতে পারে পাকিস্তানের জঙ্গিরা, পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন বাড়তি সতর্ক লালবাজার

0
2

বাংলাদেশ এখনও অশান্ত।আর সেই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে বাংলাদেশকে ট্রানজিট রুট হিসেবে ব্যবহার করে কলকাতায় ঢুকতে পারে পাকিস্তানের জঙ্গিরা।ফের নতুন করে চাঙ্গা হতে পারে জিহাদি মডিউল। এমনই আশঙ্কা করছেন এ দেশের গোয়েন্দারা। আর সেই কারণে প্রথম থেকেই সতর্ক হয়েছে লালবাজার। পাসপোর্ট ভেরিফিকেশনে কড়াকড়ি শুরু করেছে লাল বাড়ি।

পাসপোর্ট ভেরিফিকেশন নিয়ে বাড়তি সতর্ক হওয়ার জন্য লালবাজারের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই থানাগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে পাসপোর্ট আবেদনকারীর বাড়ি গিয়ে আধার কার্ড, ভোটার কার্ড-সহ প্রয়োজনীয় নথি পরীক্ষা করতে হবে। বাড়ির ঠিকানাও খতিয়ে দেখতে হবে। আবেদনকারী পাসপোর্টের জন্য যে ঠিকানা দিয়েছেন সেখানেই ওই ব্যক্তি থাকেন কিনা তাও খতিয়ে দেখতে হবে। আর যদি আবেদনকারী সেই ঠিকানায় থাকেন তাহলে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র খতিয়ে দেখতে হবে। গোয়েন্দা সূত্র্রে জানা গিয়েছে, ভুল বা ভুয়ো নথি দিয়ে পাসপোর্ট তৈরি করা হয়েছে এমন তথ্য তাদের হাতে রয়েছে।কারণ, কিছুদিন আগেই পার্কস্ট্রিট থেকে বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। জানা গিয়েছিল দিল্লি থেকে ভুয়ো পরিচয়পত্র তৈরি করে তা ব্যবহার করে রাজস্থানের ঠিকানায় পাসপোর্ট তৈরি করেছিল। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে লালবাজার।

আসলে বাংলাদেশের পরিস্থিতি বদলের পর থেকেই পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইও রীতিমত তৎপর বাংলাদেশ ইস্যুতে। এই পরিস্থিতিতেই এ দেশের গোয়েন্দারা জানিয়েছেন, বাংলাদেশকে করিডর হিসেবে ব্যবহার করতে পারে পাকিস্তানি জঙ্গি সংগঠন।সেই চেষ্টা ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। আর সেই কারণে বাংলাদেশের পথেই পাকিস্তানের জঙ্গিরা পশ্চিমবঙ্গে, ত্রিপুরা, অসম সীমান্ত ব্যবহার করে ভারতে ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই দেশের স্লিপার সেলগুলিকে পাক জঙ্গিরা সক্রিয় করতে চাইছে বলেও ভারতীয় গোয়েন্দা সূত্রের খবর। সেই কারণেই ভুয়ো নথি ব্যবহার করে পাসপোর্ট তৈরি করতে চেষ্টা করছে অনেকেই। আর জঙ্গিদের সেই প্রচেষ্টা বানচাল করতে প্রথম থেকেই কঠোর লালবাজার।

এরই পাশাপশি,বৃহস্পতিবার সব থানায় পাঠানো এক নির্দেশিকায় লালবাজারের তরফে বলা হয়েছে, ২০ দিনের মধ্যে পাসপোর্টের পুলিশি যাচাই প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে। শুধু তাই নয়, বর্তমানে যে সব পাসপোর্টের পুলিশি যাচাইয়ের কাজ আটকে রয়েছে, তা আগামী সাত দিনের মধ্যে শেষ করে রিপোর্ট জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। থানার ওসিদের বলা হয়েছে, পুলিশ অফিসার যাতে ২০ দিনের মধ্যে যাচাইয়ের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেন, তা দেখতে হবে।

3.
4.
5.
6.
7.
8.
9.
10.