সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে সাবধান হন চিকিৎসকরা! জারি একগুচ্ছ নির্দেশিকা

0
2

চিকিৎসকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করল ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশন (National Medical Commission)। কমিশনের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়াকে (social media) ব্য়বহার করে এমন ধরনের প্রচার চালাচ্ছেন চিকিৎসকরা যা আদতে চিকিৎসা নীতি বিরোধী (unethical)। ফলে একগুচ্ছ নির্দেশিকা জারি করে খর্ব করা হল চিকিৎসকদের সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারের হাত। সম্প্রতি বাংলায় আর জি করের ঘটনাকে কেন্দ্র করা চিকিৎসকরা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করেই মূলত আন্দোলন সংগঠিত করার কাজ করেছেন। চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তা নিয়ে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে কমিটি গঠন করেছে। নিরাপত্তা সংক্রান্ত মামলাতেই চিকিৎসকদের একাধিক বেনিয়মও উঠে এসেছে। এবার সেই সব ক্ষেত্রেও সচেতন মেডিক্যাল কমিশন।

কমিশনের নির্দেশিকায় বলা হয়েছে কোনও চিকিৎসকই কোনও রোগীর থেকে প্রশংসা আদায় করে ভিডিও প্রকাশ করতে পারবেন না। রোগীর অভিজ্ঞতা প্রকাশ করে ভিডিও (testimonial video) পাবলিশ করাকে চরম অনৈতিক (unethical) বলে দাবি করেছে কমিশন। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা গিয়েছে চিকিৎসক হিসাবে নিজেদের প্রচার করতে অতিরিক্ত অর্থ (buying followers) দিয়ে নিজেদের পেজের রিচ (reach) বাড়িয়ে থাকেন চিকিৎসকরা। এবার সেই অভ্যাসে লাগাম টানল মেডিক্যাল কমিশন। এই রাজ্যে আর জি কর নিয়ে আন্দোলন করতে গিয়েও অনেক ক্ষেত্রেই এধরনের উদাহরণ উঠে এসেছে যেখানে নতুন পেজ তৈরি করে আন্দোলনের প্রচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন চিকিৎসকরাই।

সরাসরি চিকিৎসকদের বাণিজ্যিক মঞ্চ হিসাবে সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারের উপরও রাশ টেনেছে কমিশন। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে চিকিৎসক হিসাবে রেজিস্ট্রেশন (registered doctors) যাঁদের রয়েছে তাঁরা সরাসরি কোনও চিকিৎসা সংক্রান্ত জিনিস (products), ওষুধ (medicines) বা চিকিৎসা পরিষেবার (medical services) বিজ্ঞাপন করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে কোনও বিশেষ চিকিৎসা যেমন, সিটি স্ক্যান বা পেট সিটি স্ক্যানের মতো চিকিৎসার প্রচার করতে পারবেন না। সেই সঙ্গে রোগীদের সরাসরি বা ঘুরপথে কোনওভাবে পরামর্শ দেওয়ার কাজও সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবহারে এমন কোনও কাজ করার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে যা চিকিৎসকদের নৈতিকতা বিরোধী। অর্থাৎ ন্যাশানাল মেডিক্যাল কমিশনের নির্দেশিকা অনুযায়ী রাষ্ট্র যেমন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের নিরাপত্তার দিকটির দায়িত্ব নেবে, তেমনই চিকিৎসকদেরও দায়িত্বশীল ভূমিকা পালনের উপর জোর দেওয়া হয়েছে।