মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শিল্প ভাবনায় তরতরিয়ে এগিয়ে চলেছে বাংলা। কেন্দ্রের মোদি সরকারের অপদার্থতায় দেশজুড়ে যখন বেকারত্ব মাথাচাড়া দিচ্ছে, ঠিক সেই সময় বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শিল্পক্ষেত্রে বাংলা পৌঁছে যাচ্ছে বিশ্বের দরবারে। দেশের পাশাপাশি বাংলায় আসছে বিদেশি বিনিয়োগ। তালমিলিয়ে বাড়ছে কর্মসংস্থান। আর তা সম্ভব হচ্ছে দিদির সঙ্কল্পে।
মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে বাংলায় যে শিল্পজোয়ার এসেছে, তা ছোট্ট পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট হয়ে যায়। ২০১১ সালের পর থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত বাংলায় নতুন বিনিয়োগ এসেছে ১ লক্ষ কোটি টাকারও বেশি। এই বিপুল বিনিয়োগের জেরে বাংলায় ক্ষুদ্র-ছোটো থেকে মাঝারি ও বড় শিল্প গড়ে উঠেছে। ২০২৪ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাংলায় বুকে সক্রিয় কোম্পানির সংখ্যা ১ লক্ষ ৪৪ হাজার ৩৪৮টি। এই সংখ্যা দেশের মধ্যে চতুর্থ সর্বোচ্চ। আর দেশের মোট কোম্পানির সংখ্যার ৮.১৬ শতাংশ। শুধু কোম্পানি গজিয়ে ওঠেনি, সেখানে বিপুল কর্মসংস্থানও হয়েছে। ১০ মিনিয়ন বা ১ কোটিরও বেশি কর্মসংস্থান হয়েছে। তার ফলে বেকারত্বের হার কমেছে অনেকটাই।
আরও পড়ুন- জয়নগরের ঘটনার দু-মাসের মধ্যেই দোষী সাব্যস্ত মূল অভিযুক্ত! শুক্রবার সাজা ঘোষণা
তৃণমূলের আমলে বাংলায় বেকারত্ব কমেছে ৪০ শতাংশ। এক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য, ২০২৩ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে দেশে বেকারত্বের হার ছিল ৯.০৫ শতাংশ। আর সেই সময়ে বাংলায় বেকারত্বের হার ছিল দেশের তুলনায় তিন শতাংশ কম। বাংলায় এই কর্মজোয়ার ও কর্মসংস্থানের প্রভাব পড়েছে বাংলার জিএসডিএ-তেও। উৎপাদন ক্ষেত্রে বাংলার জিএসডিএ ৭.২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। বর্তমানে জাতীয় গড় জিএসডিএ ৬.৫৩ শতাংশ। বাংলার জিএসডিএ বৃদ্ধি জাতীয় গড়ের তুলনায় অনেক বেশি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিল্পের প্রসারে সদা সচেষ্ট। ফের বাংলায় আসর বসছে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের। এরপর বিদেশি বিনিয়োগের পরিমাণ আরও বাড়বে বলে আশাবাদী মুখ্যমন্ত্রী। ফলে কর্মসংস্থান ও উৎপাদন দুই-ই বাংলাকে এগিয়ে দেবে দেশের শিল্প-মানচিত্রে।