উচ্চশিক্ষায় বড়সড় বদল করার কথা জানিয়েছে ইউজিসি। একইসঙ্গে দুটি বিষয়ে কোর্স করা যাবে বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন। এর ফলে শিক্ষাব্যবস্থাকে ব্যয়বহুল করে বেসরকারিকরণের দিকেই ঠেলে দেওয়া হচ্ছে বলে মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী। কেন্দ্রের এই খামখেয়ালি পড়ার জন্য আদতেই শিক্ষাব্যবস্থার ক্ষতি হচ্ছে বলে মত শিক্ষাবিদদেরও।

বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ইউজিসি জানিয়েছে, স্নাতক স্তরে বাংলা অনার্সের পাশাপাশি ইংরেজি নিয়েও অনার্স করতে পারবেন পড়ুয়ারা। একই ভাবে স্নাতকোত্তর স্তরেও ভিন্ন বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ রয়েছে। একই সঙ্গে টেকনিক্যাল কোর্সও করা যাবে। বছরে দু’বার, অর্থাৎ জুলাই অথবা অগস্ট এবং জানুয়ারি অথবা ফেব্রুয়ারিতে ভর্তি নেওয়া হবে। পড়ুয়ারা চাইলে আবার মাঝপথ থেকে কোনও একটি কোর্স ছেড়েও দিতে পারবেন। বারবার এই নিয়মের জটিল বেড়াজালে আদতে পড়ুয়াদের ক্ষতি হচ্ছে বলেই মনে করছেন শিক্ষামন্ত্রী।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রীর হাত ধরে শিল্পে এসেছে দেশি-বিদেশি বিনিয়োগ! বেড়েছে কর্মসংস্থান, কমেছে বেকারত্ব
শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, দেখে মনে হল এর সাধ অনেক, কিন্তু সাধ্যের বিষয়ে সে নিশ্চুপ। বিদেশের অনুকরণ করে উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার খোলনলচে বদল হবে, কিন্তু অর্থ আসবে কোথা থেকে? আসলে চুপিচুপি পেছনের দরজা দিয়ে উচ্চশিক্ষাকে ব্যয়বহুল এবং বেসরকারি ক্ষেত্রের দিকে ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা, যাতে সাধারণ বাড়ির ছেলে মেয়েদের সাধ্যের বাইরে চলে যায়। তাঁর কটাক্ষ, ওরা যত বেশি জানে, তত কম মানে। অধ্যাপক তথা শিক্ষাবিদ উদয়ন বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে কেন্দ্র কাটাছেঁড়া করছে। এতে আদতে পড়ুয়াদের ভবিষ্যত দিশাহীন হয়ে পড়ছে।




 
 
 
 
































































































































