ইউনুসের ‘কল্পকাহিনী’র পর্দাফাঁস! তালিবানি ফতোয়ায় স্পষ্ট নিয়ন্ত্রকের পরিচয়

0
1

সংখ্যালঘুদের উপর যথেচ্ছ হামলা। অরাজকতা রুখতে নয়, পুলিশ-সেনা মোতায়েত উচ্ছৃঙ্খলতাকে নিরাপত্তা দিতে। এবার প্রকাশ্যে মহিলাদের প্রবেশে বাধা। বাংলাদেশে (Bangladesh) পালাবদলের পরে দেশের আসল রাশ কাদের হাতে যাচ্ছে স্পষ্ট হতে শুরু করেছে ক্রমশ। অন্তর্বর্তী সরকারের (interim government) প্রধান নোবেলজয়ী মহম্মদ ইউনুস (Mohammed Yunus) যতই দেশে চলতে থাকা অরাজকতাকে কল্পকাহিনী বলে পরিচয় দিন, আদতে অরাজকতার ছবি যে স্পষ্ট তা আরও প্রমাণিত হচ্ছে ইউনুসের নিজের সপক্ষে সাফাই দেওয়ার মধ্যে দিয়ে। সেই সঙ্গে এবার বাংলাদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে (Sheikh Hasina) ‘বিদ্বেষমূলক’ ভাষণ না দেওয়ারও নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল। তাতে নতুন করে ভারত-বিরোধী পথে হাঁটা যে সহজ হবে তা বলাই বাহুল্য।

বাংলাদেশে হামলা ও ইচ্ছাকৃত অত্যাচারের যে ধরনের ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে সম্প্রতি, ইউনুস (Mohammed Yunus) তাকে ভারতের প্রোপাগান্ডা (propaganda) বলে দাবি করেছিলেন। ভারত থেকে কল্পকাহিনী প্রচার বন্ধ করতে রাজনৈতিক দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে একজোট হওয়ার বার্তা দেন। তারপরেই দেখা যায় বেছে বেছে সংখ্যালঘু অধ্যাপক, আইনজীবীদের উপর হামলা ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর মতো ঘটনা বন্ধ হয়নি। আদতে তবে কী বাস্তবকে ঢাকা দিতে পর্দা টানছেন ইউনুস, উঠেছে প্রশ্ন। একদিকে হামলা চালানো, তা নিয়ে প্রশাসনের দ্বারস্থ হলে অসহযোগিতা। তারপর অত্যাচারের অভিযোগ নিয়ে আদালতে গেলে আইনজীবীদের প্রাণনাশের চেষ্টা, তাতে নতুন সংযোজন মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো।

এক ধাপ এগিয়ে এবার মহিলাদের বাজারে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৌলবাদীরা, ভাইরাল হয়েছে এমন ভিডিও (ভিডিওর সত্যতা বিশ্ববাংলা সংবাদ যাচাই করেনি)। গোপালগঞ্জের (Gopalganj) সেই ভিডিওতে ইসলামি পোশাক পরা একদল লোক বাজারে মহিলারা এলে তাঁদের ফিরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিচ্ছে। এছাড়াও নামাজের সময় বাজারে কেনা-বেচা বন্ধ রাখারও নিদান দেওয়া হচ্ছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের নিয়ন্ত্রণ রাখা অবস্থায় মৌলবাদী সংগঠনই যে তাদের নিয়ন্ত্রক তার ছবি এতেই স্পষ্ট।

ইতিমধ্যে হাসিনার ভার্চুয়াল বক্তব্য নিয়ে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে আবেদন জানিয়ে ছিল ইউনুস সরকার। দেশের বাইরে থেকে এই ধরনের ঘৃণাভাসন প্রচারে দেশের নিরাপত্তা নিয়ে ট্রাইবুনালে প্রশ্ন তোলে অন্তর্বর্তী সরকার। বাংলাদেশের চলতি পরিস্থিতিতে কোনওভাবে যাতে হিংসা না ছড়ায়, সেই দিকে নজর রেখে আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনাল হাসিনার ভাসনে নিষেধাজ্ঞা জারি করে।