মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) কড়া বার্তা দিয়েছিলেন আলু পাচার রুখতে। এরপর সতর্ক পুলিশ সাফল্যের সঙ্গে রুখে দিল ভিন রাজ্যে আলু পাচার। ধর্মঘট ঘোষণার পর লুকিয়ে ভিনরাজ্যে আলু পাচারের চেষ্টা চালাচ্ছিল অসাধু ব্যবসায়ীরা। বিহারে (Bihar) সেই আলু পাচারের আগেই পুলিশ গ্রেফতার করল ট্রাক চালক ও খালাসিকে। উদ্ধার হলো ট্রাকভর্তি আলু। পশ্চিম বর্ধমানের বারাবনিতে (Barabani) পর্দাফাঁস হয়ে গেল আলু পাচার চক্রের। আসানসোলের বারাবনির কাছে ঝাড়খণ্ড সীমানায় (Jharkhand border) ট্রাক ভর্তি আলুর বস্তা উদ্ধার করে পুলিশ।
মোট ৫১০টি আলুর বস্তা উদ্ধার হয় লরি থেকে। আলুগুলি বিহারে (Bihar) পাচার করা হচ্ছিল বলে পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে।
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বাজারদর নিয়ন্ত্রণ না হওয়া পর্যন্ত ভিন রাজ্যে আলু রফতানিতে (potato export) নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। কিন্তু তারপরও এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী প্লাস্টিকের চালানের মধ্যে লুকিয়ে ভিন রাজ্যে আলু পাচারের (potato smuggling) ছক কষে। তবে পুলিশি নজরদারি এড়িয়ে পাচার করতে সফল হয়নি পাচারকারীরা। তাদের ছক বানচাল হয়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকালে বারাবনির কাছে বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানায় (Bengal Jharkhand border) নজরদারি চালানোর সময় তাদের নজরে পড়ে ট্রাকটি। প্লাস্টিক ঢাকা ট্রাক দেখে তাদের সন্দেহ দৃঢ় হয়। সঙ্গে সঙ্গেই আটক করা হয় ট্রাকটিকে। চালান দেখতে চায় টহলরত পুলিশ। কর্তব্যরত পুলিশকর্মীরা দেখেন, চালানে লেখা— লরিতে রয়েছে প্লাস্টিকের ব্যাগ। এরপর গাড়িতে তল্লাশি শুরু করে পুলিশ। দেখা যায়, প্লাস্টিকের আড়ালে থাক থাক আলুর বস্তা। মোট ৫১০টি আলু বোঝাই বস্তা-সহ ট্রাকটি বাজেয়াপ্ত করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, সাধারণত ১৯ নম্বর জাতীয় সড়ক দিয়ে গোপনে প্রচার করা হত। এখন রুট বদলে বারাবনি ও ঝাড়খণ্ডের নলা সীমানার গৌরান্ডি ব্রিজ দিয়ে আলু পাচারের (potato smuggling) চেষ্টা হচ্ছিল। জেরা করে পুলিশ জানতে পারে, হুগলির পাণ্ডুয়া থেকে বিহারের গয়ায় (Gaya) পাচার করা হচ্ছিল আলু। মঙ্গলবার থেকে আলু ব্যবসায়ীরা ধর্মঘটের ডাক দেওয়ায় বাজারে আলুর জোগান নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। তারপর এই আলুর পাচার উদ্বিগ্ন পুলিশ ও প্রশাসন। তাই পাচার রুখতে সীমানায় নজরদারি আরও বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।