সংসদের শীতকালীন অধিবেশনের শুরু থেকে মুলতবি যেন একটা নিয়ম হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিরোধী সংসদরা জনগণের ইস্যুতে সোচ্চার হলেই মুলতবি (adjourned) করে দেওয়া হচ্ছে লোকসভা (Loksabha) ও রাজ্যসভা (Rajyasabha)। এবার কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে তাঁদের দায়িত্ব মনে করিয়ে সংসদের বাইরে ব্যানার হাতে প্রতিবাদে শামিল তৃণমূল সংসদরা। সঙ্গী আপ সাংসদরাও।
বাংলার আবাস থেকে ১০০ দিনের কাজে কেন্দ্রের অনুদান বন্ধের বিরোধিতায় শামিল তৃণমূল। সেই সঙ্গে মনিপুরের (Manipur) মতো জ্বলন্ত ইসুতেও তারা প্রতিবাদের শামিল। কিন্তু তৃণমূলের দলীয় সিদ্ধান্ত কোনভাবেই সংসদের অধিবেশনকে ব্যাহত না করেই তাদের প্রতিবাদ জারি থাকবে দিল্লিতে। সেই মতো শুক্রবার সংসদ ভবনের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে তাঁরা প্রতিবাদে সামিল হন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দাবি বিক্ষোভ প্রতিবাদ যা হবে তাতে কোনোভাবেই যেন উন্নয়ন না থমকে থাকে। তাই সংসদ ভবনের বাইরেই প্রতিবাদে শামিল তৃণমূল সাংসদরা।
দীর্ঘদিন ধরে বিরোধী শাসিত রাজ্যগুলিকে বিভিন্নভাবে বঞ্চিত করে এসেছে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার। সংসদে সেই নিয়ে বারবার সরব বিরোধীদলের সংসদরা। জবাব চাওয়া হয়েছে নরেন্দ্র মোদী প্রশাসনের কাছে। সেই সঙ্গে অরাজকতা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে। আমেরিকার অভিযোগের তিরে থাকা আদানীর (Adani) পক্ষ নিয়েছে বিজেপি। মনিপুরে হিংসা, দিল্লিতে বাড়তে থাকা অপরাধের ঘটনা। সংসদে বিরোধী সাংসদরা এই নিয়ে সরকারের জবাব দাবি করলেও উত্তর দিতে নারাজ বিজেপি। ফলে শুক্রবারও মুলতবি করে দেওয়া হয় লোকসভা (Loksabha) ও রাজ্যসভার (Rajyasabha) অধিবেশন।