বালির তবলা শিক্ষক খুনে ধৃত সিরিয়াল কিলারের (serial killer) নৃশংস হত্যা লীলার কাহিনী প্রকাশ করল গুজরাট পুলিশ (Gujarat police)। এর আগে অন্তত চারটি লুট ও খুনের সঙ্গে জড়িত অভিযুক্ত রাহুল জাট। আর এই লুট খুন সে চালাত ট্রেনের কামরায় একা মহিলাদের টার্গেট করে। সর্বশেষ ২৪ নভেম্বর তেলেঙ্গানার সেকেন্দ্রাবাদে (Secunderabad) ট্রেনের ভিতর এক মহিলাকে লুট করে খুন করে। গুজরাটে ১৯ বছরের কলেজ পড়ুয়ার খুন ও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত হিসেবে তাকে হন্যে হয়ে খুঁজছিল পুলিশ ২৫ নভেম্বর তাকে গ্রেফতার করা হয়।
পাঁচ রাজ্যের পুলিশ হন্যে হয়ে খুঁজছিল সিরিয়াল কিলার রাহুল জাটকে। এরপর যৌথ অপারেশনে গুজরাটের ভালসাদের (Valsad) বাপি রেলওয়ে স্টেশনের পার্কিং লট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এরপর শুরু হয় পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ। আর সেখানেই উঠে আসে এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। সম্প্রতি কর্ণাটক (Karnataka), পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal), তেলেঙ্গানা (Telengana) ও মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) একাধিক ট্রেনে যাত্রীদের খুন করে লুটের অভিযোগ রাহুলের বিরুদ্ধে। যার মধ্যে দুজন মহিলা। কিন্তু দেশের এক এক প্রান্তে ট্রেনে করে ঘুরে বেড়ানো অপরাধীকে ধরাটা মোটেও সহজ ছিল না পাঁচ রাজ্যের পুলিশের কাছে।
এরপর বালির (Bally) তবলা শিক্ষকের যে ফোন সে চুরি করেছিল সেই ফোনের সূত্র ধরে সালেম থানাকে সতর্ক করে বাংলার পুলিশ (West Bengal police)। শেষমেশ গুজরাট থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। চার রাজ্যে ট্রেনের যাত্রীদের লুট খুনের পাশাপাশি গুজরাটে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে ছিল। এছাড়াও প্রায় এক ডজন খুন হরিয়ানা (Haryana), রাজস্থান (Rajasthan) ও উত্তর প্রদেশে (Uttarpradesh) সে করেছিল জানা গিয়েছে পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে। তাকে জালে ফেলতে প্রায় ২০০০ সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ (CCTV footage) চেক করেছে বিভিন্ন রাজ্যের পুলিশ।
তবে শুধুই লুট ও খুন নয়, ট্রাক লুট, বেআইনি অস্ত্র পাচারের সঙ্গেও যুক্ত ছিল রাহুল। ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে বিভিন্ন কারণে বিভিন্ন রাজ্যের সে জেল খাটে। এরপর ২০২৪ এ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফের সক্রিয় হয় এই কুকীর্তিতে। শেষ পর্যন্ত গুজরাটে আশ্রয় নেওয়ার পরই তাকে ধরা সম্ভব হয় পুলিশের যৌথ অভিযানে।