সঙ্গী বা পরিবারের হাতে প্রতি ১০ মিনিটে এক নারীহত্যা, তথ্য পেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের

0
1

নারী নির্যাতন থেকে খুনের ঘটনায় যেখানে বাংলাকে উত্তপ্ত করতে উঠে পড়ে লেগেছে বিরোধী চক্রান্তকারীরা, সেই সময়ই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations)। গোটা বিশ্বের পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতিদিন ১৪০ জন নারী যৌন নিগ্রহের (sexual violence)  শিকার হয়ে খুন হন। অর্থাৎ প্রতি দশ মিনিটে খুন হতে হয় ১ জন নারীকে। রাষ্ট্রসঙ্ঘ লাগাতার ত্রিশ বছর ধরে এই বিরুদ্ধে প্রচার চালিয়ে গেলেও একাধিক মহাদেশে এই সংখ্যা আজও লাগামছাড়া। যদিও তথ্য সংগ্রহের সমস্যার জন্য এই প্রকল্পে কাজ করতে দেরি হচ্ছে, দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২৩ সালে ইচ্ছাকৃতভাবে খুন হয়েছেন ৮৫ হাজার নাবালিকা ও নারী। তার মধ্যে ৫১,১০০ মহিলা ও নাবালিকার মৃত্যু হয়েছে লিঙ্গ বৈষম্যের (gender discriminations) কারণে। অর্থাৎ ৬০ শতাংশ ক্ষেত্রে মহিলারা খুন হন নিজের প্রেমিক বা পরিবারের নিকট মানুষের হাতে। রাষ্ট্রসঙ্ঘের (United Nations) দাবি বিগত বছরের থেকে লিঙ্গ বৈষম্য থেকে যৌন নিগ্রহের (sexual violence) জন্য খুনের হার ৫০ শতাংশ বেড়েছে। আর এর জন্য় নারী ও মহিলাদের রক্ষায় যে নিয়ম বা আইন তৈরি হয়েছে তা পর্যাপ্ত নয় বলে দাবি রাষ্ট্রসঙ্ঘের।

পরিসংখ্যান অনুযায়ী আফ্রিকায় লিঙ্গ বৈষম্যের জেরে মহিলা খুনের সংখ্যা সর্বাধিক। গোটা বিশ্বের ২১,৭০০ মহিলা ও নাবালিকার এই ধরনের খুনের ঘটনা আফ্রিকা (Africa) থেকেই পাওয়া গিয়েছে ২০২৩ সালে। এই তালিকায় দ্বিতীয় আমেরিকা (America)। আফ্রিকার ক্ষেত্রে যেখানে পরিবারের মানুষের লিঙ্গ বৈষম্যের কারণে খুন হয়েছেন মহিলারা, সেখানে আমেরিকার ক্ষেত্রে বেশিরভাগ খুন প্রেমিকের (partner) হাতে। অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ডের (Oceania) ক্ষেত্রেও তাই। আমেরিকা ও ইউরোপে এই ধরনের ঘটনার ৫৮ থেকে ৬৪ শতাংশ হয়েছে ২০২৩ সালে।

রাষ্ট্রসঙ্ঘের দাবি, ২০২০ সালে যেখানে ৭৫টি দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ সম্ভব হয়েছিল সেখানে ২০২৩ সালে তথ্য পাওয়ার অসহযোগিতার জন্য মাত্র ৩৭ দেশ থেকে তথ্য সংগ্রহ করা গিয়েছে। বিশ্বের মহিলাদের এই পরিস্থিতি থেকে সুস্থ পরিবেশ ও জীবন যাপনের উপযোগী বাসস্থান দেওয়ার জন্য চার দাওয়াই দিয়েছে রাষ্ট্রসঙ্ঘ। তাঁদের দাবি, কড়া আইন, উন্নত তথ্য সংগ্রহ, দায়িত্বশীল প্রশাসন ও শূন্য সহনশীলতার মাধ্যমে মহিলাদের এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনা সম্ভব। যদিও এশিয়ার তথ্য নিয়ে এখনও সেভাবে মাথা ঘামায়নি রাষ্ট্রসঙ্ঘ, যেখানে লিঙ্গ বৈষম্যের শিকার হয়ে মৃত্যুর হার অপেক্ষাকৃত কম।