হাওড়া স্টেশনে কাটিহার এক্সপ্রেসের কামরা থেকে উদ্ধার হয়েছিল তবলা বাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃতদেহ। সেই ঘটনার তদন্তে রেল পুলিশ ও রাজ্যের সিআইডি টিম। এবার তদন্তের স্বার্থে আধিকারিকরা গুজরাট রওনা হলেন।সূত্র খুঁজে মেলানোর চেষ্টা করছেন তদন্তকারীরা। এই অবস্থায় একজনকে সম্প্রতি ভিন রাজ্যে গ্রেফতার করা হয়েছে৷ ধৃতের নাম রাহুল ওরফে ভোলু।
ধৃত রাহুল ‘সিরিয়াল কিলার’! দেশজুড়ে বিভিন্ন ট্রেনে খুনের মতো অপরাধ করে বেড়ায় বলে অভিযোগ। বাংলার তবলার শিক্ষক খুনের কিনারায় ভালসাদ পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করে সেখানে যাওয়ার পরিকল্পনা হাওড়া পুলিশের।সম্প্রতি পাঁচ রাজ্যের বিভিন্ন ট্রেনে এমন ধরনের অপরাধে নানা রাজ্যের রেল পুলিশ তটস্থ ছিল। পর পর খুনে গুজরাটের ভালসাদ পুলিশ ও রেল পুলিশ বিভিন্ন দলে ভাগ হয়ে তদন্ত শুরু করে। পাঁচ রাজ্যের এক হাজারের মতো সিসিটিভি খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। সাত হাজারের মতো যাত্রীর সঙ্গেও কথা বলেন পুলিশ কর্তারা।
জানা গিয়েছে, সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যাচ্ছে, লম্বা এক ব্যক্তি, যার পায়ে সমস্যা, সে ট্রেন থেকে নেমে যাচ্ছে।প্রতিটি সন্দেহজনক পরিস্থিতিতে দেখা গিয়েছে, খুনের পর চাদর মুড়ে রাখা হয় খুন হওয়া যাত্রীকে। ধৃতের কাছ থেকে বেশ কিছু চাদরও পাওয়া গিয়েছে, যা খুন হওয়া যাত্রীদের গায়ে জড়ানো ছিল।গুজরাট পুলিশের হেফাজতে রয়েছে এই রাহুল ওরফে ভোলু। তাকে রাজ্যে নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি চলছে৷ ইতিমধ্যেই এই ঘটনায় সিআইডি ও হাওড়া জিআরপির একটি টিম গুজরাটের উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন। সেখান থেকেই অভিযুক্ত রাহুল ওরফে ভোলুকে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হবে কলকাতায়।
কাটিহার এক্সপ্রেস ট্রেনের প্রতিবন্ধী কোচে বালির তবলাবাদক সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় খুন হন। উপরের আসনে তার মৃতদেহ চাদর জড়ানো অবস্থায় রাখা ছিল। হাওড়া স্টেশনে ট্রেন থামার পর সেই মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এক প্রৌঢ় তবলা বাদক কেন খুন হলেন? সেই নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। পাশাপাশি রেলের যাত্রী সাধারণের নিরাপত্তা নিয়েও ফের প্রশ্ন উঠছে।