সংবিধান দিবস: রাষ্ট্রপতির মুখে শুধুই ন্যায়-স্বাধীনতা-সাম্য ও সৌভ্রাতৃত্ব!

0
1

ভারতীয় সংবিধানকে বর্ণনা করতে গিয়ে ন্যায়বিচার, স্বাধীনতা, সাম্য ও সৌভ্রাত্বের কথা বললেও কোথাও সমাজতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষতার কথা উল্লেখ করলেন না রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু (President Draupadi Murmu)। ভারতের কাঠামোর ভিত্তিপ্রস্তর হিসাবে ভারতীয় সংবিধানকে উল্লেখ করে এই সম্পর্কে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জ্ঞান ও আগ্রহ বাড়ানোর বার্তা দেন তিনি। মঙ্গলবার সংবিধানের (Indian Constitution) ৭৫ বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্য়ে সংসদের সেন্ট্রাল হলে (Central Hall) সমবেত হন দেশের প্রধানমন্ত্রী, উপরাষ্ট্রপতি, থেকে লোকসভা ও রাজ্যসভার বিরোধী দলনেতা। রাষ্ট্রপতির উজ্জ্বল উপস্থিতিতে সংবিধানের প্রস্তাবনা পাঠ করেন তাঁরা।

ভারতের সংবিধানকে প্রাণবন্ত ও প্রগতিশীল সংবিধান বলে উল্লেখ করেন রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু। সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত ও সমষ্টির মর্যাদা আলাদাভাবে রক্ষা হয় ভারতের সংবিধানে, উল্লেখ রাষ্ট্রপতির। তিনি জানান, “ভারতের সংবিধান কয়েকজন উজ্জ্বল মস্তিষ্কের তিন বছরের চরম আলোচনার ফসল। এক অর্থে এটা আমাদের দীর্ঘ স্বাধীনতা সংগ্রামের ফলাফল। অতুলনীয় জাতীয় আন্দোলনের মধ্যে নিহিত আদর্শগুলি স্থাপিত হয়েছে সংবিধানে। সেই আদর্শগুলিই সংক্ষিপ্ত আকারে রক্ষিত হয়েছে সংবিধানের প্রস্তাবনায়। সেগুলি হল ন্যায়বিচার (justice), স্বাধীনতা (liberty), সাম্য (equality) ও সৌভ্রাতৃত্ব (fraternity)।”

রাষ্ট্রপতির ভাসনে উঠে আসে এত দীর্ঘ বছর ধরে সংবিধানের পালন করে দেশের আইন, বিচার ও প্রশাসন কীভাবে দেশের মানুষের জীবনকে আরও ভালো করেছে। শুধুমাত্র ভারত নয়, আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তা বিধানে অংশগ্রহণের অধিকারও ভারতের সংবিধান দিয়েছে বলে উল্লেখ রাষ্ট্রপতির। সংবিধান প্রতিষ্ঠিত সার্বভৌমত্বের উদযাপনে ২০২৫ সালের ২৬ জানুয়ারি পালিত হবে গণতন্ত্রের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব, জানান রাষ্ট্রপতি।