সেনার বুলেট বনাম ইমরান সমর্থকদের আবেগ: জ্বলছে ইসলামাবাদ

0
2

মঙ্গলবার এযাবৎকালের সবথেকে বড় জনতা-পুলিশ সংঘর্ষের সাক্ষী থাকল ইসলামাবাদ (Islamabad)। চার নিরাপত্তাকর্মীর হত্যার পরে দেখামাত্র গুলি চালানোর নির্দেশ দেয় শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) সরকার। তাতেও দমানো যায়নি ইমরান সমর্থকদের। সেনার রাবার বুলেট উপেক্ষা করে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ সরকারি দফতরগুলি লক্ষ্য করে এগিয়ে গিয়েছেন তহরিক-ই-ইনসাফ (Tehreek-e-Insaf) সমর্থকরা। তবে এক ইঞ্চিও জমি ছাড়তে নারাজ শাহবাজ সরকার।

পাকিস্তানের ক্ষমতা বদলের সর্বশেষ ডাক ইমরান খান (Imran Khan) দেওয়ার পরই প্রতিরোধের প্রস্তুতি শুরু করেছিল শাহবাজ শরিফ সরকার। শনিবার ইসলামাবাদে কোনও ধরনের জমায়েত দুমাসের জন্য বন্ধ করার নির্দেশ জারি হয়। তা সত্ত্বেও রবিবার ইসলামাবাদের (Islamabad) উদ্দেশে রওনা হয় বিপুল সংখ্যক ইমরান সমর্থক। ইমরানের স্ত্রী বুসরা বিবির (Bushra Bibi) নেতৃত্বে খাইবার পখতুমখোয়া প্রদেশ থেকে তাঁরা রওনা দেন। রবিবার সন্ধ্য়ার মধ্যে অন্তত দশ হাজার মানুষ রাজধানী শহরে জমায়েত করে। পাক সেনার দাবি, বিক্ষোভকারীদের হামলায় পাঁচ নিরাপত্তাকর্মীর মৃত্যু হয়েছে, আহত অন্তত এক ডজন।

শনিবার থেকেই ইসলামাবাদে নামানো হয়েছিল প্রায় ২০ হাজার পাক সেনা। প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ (Shehbaz Sharif) দাবি করেন, বিক্ষোভকারীদের “শত্রু হিসাবে গণ্য করতে হবে”। এখান থেকেই ইমরান সমর্থকদের জেদ বেড়েছে আরও। তাঁদের দাবি, দেশের সরকার তাঁদের দেশের মানুষ হিসাবে নয়, শত্রু হিসাবে গণ্য করে। শুধুমাত্র ইমরানের জেলমুক্তি নয়, বিগত নির্বাচনে যেভাবে স্বৈরাচারী শাসক ভোটে করাচুপি করে জয় লাভ করেছে, তারও প্রতিবাদ করেন বিক্ষোভকারীরা।

মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের দমন করতে সব রকম অস্ত্র প্রয়োগ করার স্বাধীনতা পায় পাক সেনা। দেখামাত্র গুলি চালানোর (shoot at sight) নির্দেশ দেওয়ার পরেও এগোনো থামাননি বিক্ষোভকারীদের। যথেচ্ছ রবার বুলেট (rubber bullet) ও কাঁদানে গ্যাসের সেল (tear gas cell) ফাটায় সেনা। গোটা ইসলামাবাদ (Islamabad) শহর ঘন ধোঁয়ায় ঢেকে যায়। তবে ইসলামাবাদ শহরে নিষিদ্ধ ইন্টারনেট। ফলে মঙ্গলবারের সারাদিনের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানা যায়নি।