তৃণমূলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকের পরে বিরোধীরা একাধিক চক্রান্ত তৈরির চেষ্টায় সচেষ্ট। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দক্ষ সাংগঠনিক নেতৃত্বে যেভাবে দলের অন্দরে কার্যকারিতা পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে রাজ্যের শাসকদল তা নিয়ে ঈর্ষায় অনেক মন্তব্য ছড়িয়ে পড়েছে সোমবারের পরে। তারই মধ্যে অন্যতম মুর্শিদাবাদের ভরতপুরের বিধায়ক হুমায়ুন কবির (Humayun Kabir)। দলের পদক্ষেপ না-পসন্দ হওয়ায় একাধিক মন্তব্য তিনি করেছেন। তবে তাঁর এইসব বক্তব্যকে “অপ্রয়োজনীয় অবাঞ্ছিত” বলে দাবি করেছেন রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।

ভরতপুরের বিধায়কের দাবি, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) দিল্লিতে বেশি দায়িত্ব দিয়ে রাজ্য থেকে তাঁকে বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। সেই সঙ্গে দলের সদস্যদের নাম না করে সমালোচনা করেন তিনি। তাঁর দাবি দলের সুপ্রিমোকে কোনও কোনও নেতৃত্ব ভুল পথে চালিত করার মন্ত্রণা দিচ্ছেন।

সোমবারই দলীয় বৈঠকে তৈরি হয়েছে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি (disciplinary committee)। তারপরেও হুমায়ুনের এই ধরনের বক্তব্যে মোটেও পাত্তা দিতে চায় না দল। কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) দাবি, এই ধরনের মন্তব্য অপ্রয়োজনীয়, অবাঞ্ছিত। সোমবারই পুরদস্তুর কর্মসূচি, নেতৃত্ব ঘোষণা হয়েছে। তারপরে এধরনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়া থেকে বিরত থাকাই ভালো। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, “যদি কোনও সিনিয়র নেতার বক্তব্য দেওয়ার হয় সংশ্লিষ্ট শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বক্তব্য জানাবার সুযোগ রয়েছে। তার বদলে যদি কেউ শীর্ষ নেতৃত্বের কর্মসূচি, বৈঠক, পদক্ষেপের পরেও এই ধরনের বক্তব্য পেশ করে থাকেন। তাহলে সেটা তাঁর একান্ত নিজস্ব। সংশ্লিষ্ট নেতৃত্ব সেটা দেখবেন।”









































































































































